অমিত শাহের বাংলা সফরে সিএএ ইস্যু-সহ ‘বঙ্গভঙ্গে’র দাবি হচ্ছে জোরাল

বিধানসভা পরবর্তী সব উপনির্বাচন ও পুরভোটে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি নেমেছে তৃতীয়স্থানে। খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দল এখন সিপিআইএমের নিচে। প্রবল…

During Amit Shah's visit to Bengal

বিধানসভা পরবর্তী সব উপনির্বাচন ও পুরভোটে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি নেমেছে তৃতীয়স্থানে। খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দল এখন সিপিআইএমের নিচে। প্রবল গোষ্ঠিদ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি কর্মসূচির মাঝে সময় বের করে দলকে ভোকাল টনিক দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। 

আগামী মাসের শুরুতেই বঙ্গ সফরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরবঙ্গে শাহ যাবেন। তার আগেই রাজ্য ভেঙে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার দাবিতে সরব বিজেপি। কিন্তু অমিত শাহের সফরের আগেই সিএএ ইস্যুতে সরব হচ্ছে বিজেপির একাংশ। কারণ, দলের মধ্যে সিএএ ইস্যুতে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শাহের বঙ্গ সফরে বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।

২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়টি ইস্তেহার পত্রে প্রাধান্য দিয়েছিল বিজেপি। ক্ষমতায় আসার পর নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছে মোদী সরকার৷ কিন্তু তা এখনও কেন লাগু হচ্ছে না? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে বারবার মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে বিজেপি নেতা ও বিধায়করা।

সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারের নাম। মতুয়াদের এক অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কের বার্তা, মতুয়া সম্প্রদায় তাদের বিশ্বাস করে, ভোট দিয়ে ১৮টা আসন দিয়েছিল। এখন সিএএ লাগু না হওয়ার কারণে সেটা নিয়ে সত্যি সত্যি একটা ব্যথার সৃষ্টি হয়েছে মতুয়াদের মধ্যে। সমস্ত মতুয়াদেরই এক হয়ে দাবি আদায় করতে পথে নামতে হতে পারে। সেই বার্তাটা দিয়ে রাখলাম। বিরোধিতা কেউ করলে তার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে, কেবল মাত্র মতুয়া স্বার্থে পথে নামতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

একই ইস্যুতে আগেও সরব হতে দেখা গেছে মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতাদের। অমিত শাহের সফরে এই বিষয়টি আরও একবার তুলে ধরতে চায় গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, রাজ্য সরকার সিএএ এর বিরোধী। আসলে এধরনের কথা বলে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।

সিএএ বিরোধী অবস্থানে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। তবে সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিএএ বিরোধিতা সম্পূর্ণ আইওয়াশ। তাঁর দল ও বিজেপির মধ্যে পারস্পরিক যাতায়াত থেকেই সেটা স্পষ্ট। আসলে টিএমসি ভুয়ো বিরোধিতা করছে।