শুভেন্দুর জেলায় টাকার বিনিময়ে প্রার্থীর টিকিট বন্টন! বিজেপি নেতার স্বীকারোক্তিতে শোরগোল

নিজস্ব সংবাদদাতা, এগরা: লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশে এল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী বিস্ফোরক মন্তব্যের পর পূর্ব…

Shuvendu Adhikari

নিজস্ব সংবাদদাতা, এগরা: লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশে এল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী বিস্ফোরক মন্তব্যের পর পূর্ব মেদিনীপুরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিলেই মিলবে নির্বাচনে লড়াই করা টিকিট। পাশাপাশি সঙ্গে থাকবে জিতিয়ে দেওয়ার গারেন্টি। টাকার বিনিময়ে নির্বাচনের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ৪ মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য্য ও এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির সিতাংশু যানার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকে বিজেপি তুলনামূলক ভালো ফল করেছিল। সেই নির্বাচনে সর্বোদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের গনেশ্বরপুরে বুথে তরুণ গিরি’কে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও সেখানে বিজেপির চাপা গোষ্ঠী কোন্দল ছিল। সেই কারণে তরুণ গিরির প্রার্থী হতে রাজি হয়নি। মণ্ডল সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ গিরিকে আশ্বাস দেন ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার গ্যারেন্টি দেন। তাঁর বিনিময়ে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। সেই টাকা আত্মস্যাৎ করেও গাদ্দারি করে ভোটে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনলেন খোদ নির্বাচনে পরাজিত বিজেপি নেতা তরুণ গিরি।

এদিন বিজেপি নেতা তরুণ গিরি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সীতাংশু জানা আমার কাছে আসেন এবং আমাকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন। যেহেতু এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে প্রথমে আমি দাঁড়াতে রাজি হয়নি। পরে তারা আশ্বাস দেন, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাকেই দলের সবাই সাপোর্ট করবে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমি ওই টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে। আমি দলের উর্দ্ধতন নেতৃত্বকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি৷”

যদিও এই ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি ও ব্লকের সহ সভাপতির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযুষ কান্তি পণ্ডা বলেন, “বিজেপির যারা কর্মকর্তা আছেন তাঁরা দলের নামে টাকা তুলে তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ করে। এই দলের কর্মীদের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আসা করা যায় না। বিজেপির উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাঁরা সকলেই চোর। বিজেপিতে সব ভাড়াটে প্লেয়ার আছে, যারা আদর্শবান নেতা ছিল তাঁরা বিজেপি করছে না। তৃণমূলের ছাট, চোর ডাকাতগুলো বিজেপিতে গিয়েছে। বিজেপির ভদ্রলোকেরা ধীরে ধীরে এই দল ছেড়ে দেবে। লোকসভা ভোটের বিজেপি করার জন্য, বিজেপির পতাকা ধরার জন্য একটি লোকও থাকবে না৷”

যদি ওই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্বরা। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক অমলেশ পাহাড়ীর কথায়, “বিজেপি অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। বিজেপি এইসমস্ত কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ দেখছেন। এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে পারবো নায়৷”