DA Strike: মমতার হুমকি উড়িয়ে সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটে স্তব্ধ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

ডিএ বকেয়া মেটাতে হবে এই দাবিতে রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি কর্মচারিদের ধর্মঘট (DA Strike)। স্তব্ধ পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ধর্মঘট করা যাবে না।

ডিএ বকেয়া মেটাতে হবে এই দাবিতে রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি কর্মচারিদের ধর্মঘট (DA Strike)। স্তব্ধ পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ধর্মঘট করা যাবে না। তবে সেই নির্দেশ না মেনেই রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশিরভাগ কর্মী কাজে যোগ দেননি। তেমনই ছবি দেখা গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Burdwan)। নিস্তব্ধ দফতরগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয়ে কাজ হয়নি।

DA-Strike1

   

রাজ্যে বাম জমানার পতনের পর পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি ইউনিয়ন চলে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। তবে ডিএ দাবিতে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে। তৃ়ণমূলপন্থী সংগঠন সরাসরি ধর্মঘটে নামেনি। অন্য দিকে বাম ও কংগ্রেসপন্থীরা ধর্মঘট করছেন। ডিএর দাবিতে শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের ৪০ টি বেশি সংগঠন।

ধর্মঘট রুখতে নবান্নের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের শুক্রবার কাজে যোগ দিতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবাইকে সঠিক সময়ে যেতে হবে। অন্যক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকবে। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কেউ যোগ না দিলে এক দিনের বেতন কাটা হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। একইসঙ্গে কর্মজীবন থেকে একদিন ছেদ যাবে বলে জানিয়েছে নবান্ন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশিকা জারি করেন। আর মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কর্মচারি সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়েছে ‘অচল হবে নবান্ন সহ রাজ্যের সব দফতর’। ‘টের পাবে চৌদ্দ তলা’ বলছেন ধর্মঘটি সরকারি কর্মচারিরা।

DA-Strike1

বাঁকুড়ায় বিষ্ণুপুরে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, সরকারি কোষাগার যাঁরা লুট করছে, তাঁদের হুমকি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে মানুষ জাগছে, প্রস্তুত হচ্ছে। আজ যারা প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘট করছেন, তাঁদের অভিনন্দন।