DA Strike: আন্দোলন উপেক্ষা করে নবান্নে হাজিরা দেওয়া কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে

কেন্দ্রের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বিস্তর ফারাকের প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দিয়েছে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত কর্মচারীদের ৪২ টি সংগঠনের মিলিত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলন উপেক্ষা করে ধর্মঘটে কারা?

mamata banerjee nabanna

সরকারি কর্মীদের মন পেতে বাজেটের দিন ‘চিরকুটে’ ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী এখনও বাকি ৩২ শতাংশ। কেন্দ্রের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বিস্তর ফারাকের প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দিয়েছে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত কর্মচারীদের ৪২ টি সংগঠনের মিলিত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলন উপেক্ষা করে ধর্মঘটে কারা? খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Chief Minister Mamata Banerjee)৷

অন্যদিকে, সকাল ১১ টার মধ্যে হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। কর্মীদের উপস্থিতির হার নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। সকাল সাড়ে ১১ টার মধ্যে উপস্থিতির হার জানা যাবে। হাজিরার খাতা খতিয়ে দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত সচিবদের।

সকাল থেকে কশহর কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় ধর্মঘটের প্রভাব দেখা গেছে। ফেরিঘাটেও এর প্রভাব দেখা গেছে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া কাজে যোগ দিতে নারাজ সরকারি কর্মীরা। নবান্নের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে এদিন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা হবে। এমনকি কর্মজীবনে একদিন ছেদ পড়বে। নবান্নের সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করেই চলছে কর্মসূচি।

বকেয়া ডিএ নিয়ে গত একমাস ধরে সরকারি কর্মচারীরা শহীদ মিনারের সামনে ধর্না এবং অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, মুণ্ডু কেটে নিলেও ডিএ দিতে পারব না। ধর্মঘটের পক্ষে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বার্তা, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের হুমকি শুনে এসেছি। এই সরকারের ক্ষমতা নেই চাকরি কেড়ে নেওয়ার। কেবল তো ডিএ নয়, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ীকরণেরও দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদিকে, ডিএ আন্দোলন নিয়ে ধর্মঘটের পক্ষে বার্তা এসেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরফেও। রাজ্যপালের বক্তব্য, ডিএ নিয়ে যে অনশন চলছে, তাতে অসুস্থ হয়ে পড়বেন একের পর এক সরকারি কর্মী। মানুষের পরিষেবা ব্যহত হবে। তাঁর বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৪০ মিনিট ধরে বৈঠকের পর রাজ্যপালের তরফে ওয়ি বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা এ ধরনের কোনও বক্তব্য পাননি।