ফের বিস্ফোরক বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি (Manoranjan Byapari)। তিনি এবার শেষ জবাব দিতে চলেছেন বলে জানালেন। তাঁর লেখায় ফুলন দেবী কে? এ নিয়ে তীব্র আলোড়িত রাজ্য। হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক কাকে করলেন ইঙ্গিত?
গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক বিদ্রোহী হন। তাদের একজন মনোরঞ্জন ব্যাপারি। তবে পরে বিদ্রোহ বন্ধ করেছিলেন। এবার তিনি ফের সরব।
বলাগড়ের বিধায়কের বিষ্ফোরক ফেসবুক পোস্ট। তিনি পোস্ট করে বলেন, ৭ ই জানুয়ারি তিনি ফেসবুক লাইভ করবেন, সেদিন শেষ জবাব দেবেন। তার এই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে জল্পনা তুঙ্গে।দলের এক যুবনেত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তার পোস্ট থেকে স্পষ্ট তিনি দলের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে চলেছেন। তিনি দলের এক প্রতিনিধি ও তার স্বামীর কাজকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। দলের এই প্রতিনিধি ও তার স্বামী এলাকায় নানা দুর্নীতির সাথে যুক্ত। সেখানে বালি চুরি থেকে শুরু করে চাল চুরি। নানান ধরনের কাজের সাথে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি তার। শুধু তাই নয় তার সিকিউরিটি তুলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারটি হুমকির দিকে নির্দেশ করছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সমস্ত স্তরে স্তরে তিনি অভিযোগ করেছেন। তাও কোনো ফল মেলেনি। মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযোগ করছেন যুবনেত্রী রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে হয় জানাতে হয় কোন বিষয় দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলাগড়ের প্রার্থী হয়েছিলেন, বলাগড়ের বাসিন্দারা মিলে ভোট করা হয়েছিল। আমাদের ব্লকের কোন নেতৃত্বই ওনার কাছে ভালো থাকতে পারেনি কখনো। উনি আবহাওয়ার মতো পরিবর্তিত হন কাজ হয়ে গেলে মানুষকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এটাই ওনার চরিত্র। উনি যখন তখন নাম নিয়ে যাকে তাকে অপমান করেন।
রুনা খাতুন মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও প্রশাসককে প্রশ্ন করতে বলেছেন। ওই বিধায়ক কি করছেন দুর্নীতির বিরোধিতা করতে পারছেন না। মনোরঞ্জন বেপারি জানিয়েছে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়াতেই রুনা খাতুন নিজের প্রভাব খাটিয়ে মনোরঞ্জন ব্যাপারে সিকিউরিটি তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মনোরঞ্জন ব্যাপারী প্রাণনাশের হামলা বিষয়ে ভীত।
রুনা খাতুন বলেন, সংগঠনে জেলা নেতৃত্বরা আছেন, জেলা চেয়ারম্যান আছেন তাদের প্রশ্ন করা হোক রুনা খাতুন এসব করেছেন কিনা। এটা যদি আমি করি তাহলে কার নেতৃত্বে করলাম নির্দিষ্ট নাম করুক। এটা তো একার পক্ষে আমার সম্ভব নয়। উনি নিজে কাদা ছুঁড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মনোরঞ্জন বেপারী জানাচ্ছেন তিনি বহু দুর্নীতি আটকেছেন। মানুষ যা বলবে তাকে তাই করতে হবে। এ প্রকার দুর্নীতির সাথে আমি কখনোই যুক্ত হই নি ও হবো না। নাম করে রুনা খাতুন কে দোষারোপ করেন তিনি।
