Birbhum TMC: কেষ্ট ফিরলে কী হবে? জেলা সভাপতি পদ নিয়ে চাপে তৃণমূল

শুধুমাত্র বীরভূম নয় (Birbhum), জেলার আশেপাশেও চলত কেষ্টর ক্যারিশমা। চোখ বন্ধ করে নিজের সেনাপতির ওপর বিশ্বাস করতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MamataBanerjee)

Birbhum TMC

শুধুমাত্র বীরভূম নয় (Birbhum), জেলার আশেপাশেও চলত কেষ্টর ক্যারিশমা। চোখ বন্ধ করে নিজের সেনাপতির ওপর বিশ্বাস করতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MamataBanerjee)। কিন্তু কেষ্ট জেলে যাওয়ার পরে সমস্যায় পড়েছেন দলনেত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা সভাপতি পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই মাথায় বসে দল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। তাঁর কাছে বড় প্রশ্ন, জেল থেকে জেলা সভাপতি মুক্তি পেলে কী হবে? সেই কথা ভেবেই কী এখনই জেলা সভাপতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না তৃণমূল?

গরু পাচার মামলায় ১১ অগাস্ট কেষ্টকে নীচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এখন ইডির হেফাজতে কেষ্ট দিল্লিতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেষ্টর মুক্তি নিয়ে সংশয় রয়েছে। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত তথ্য উঠে আসছে, তাতে হেফাজতের মেয়াদ বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই জেলায় দল পরিচালনার জন্য ১০ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ কেষ্ট ঘনিষ্ঠ হলেও, কাজল শেখ এবং শতাব্দী রায়ের মতো নেতাদের জায়গা দিয়েছেন মমতা। যাদের কেষ্টর সঙ্গে দূরত্ব বিস্তর।

দল পরিচালনার ক্ষেত্রে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ট্র্যাটেজিও বটে। কিন্তু কেষ্ট যে ফর্মুলায় বীরভূম জুড়ে দাপট চালিয়েছে, সেই দাপট চালানো কী অন্য কোনও নেতার পক্ষে সম্ভব। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর থেকেই জেলা সভাপতি পদে বীরভূমের একাধিক নেতাদের নাম নিয়ে বারবার জল্পনা হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়নি হাইকম্যান্ড। তাঁদেরই একাংশের বক্তব্য জেলা সভাপতি পদ খালি থাকবে না। কেউ না কেউ ওই পদে বসবে। তাহলে তাঁরা কারা?

তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, এই মুহুর্তে যারা দল চালাচ্ছেন, তাঁরা কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আগের মতোই দল চলছে। অভিযুক্ত কেষ্টর কারণে ভোটবাক্সে একটা প্রভাব পড়তে চলেছে, সেকথা স্বীকার করছেন তাঁরাই। কিন্তু সমস্যা হল ওই পদে যদি অন্য কাউকে নিয়ে আসা হয়, তাহলে কি বিপদ পড়বে শাসক দল? সেক্ষেত্রে বীরভূমে জায়গা করে নেবে বিরোধীরা? সেটা একেবারেই যাতে না হয়, সেকারণেই ওই পদ খালি রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।