Rampurhat Massacre: মারল তৃণমূল, মরল তৃণমূল! পার্টিফান্ডের পরিবর্তে জনতার টাকা বিলি নিয়ে প্রশ্ন

বীরভূমের বগটুই গ্রামের গণহত্যার (Rampurhat Massacre) পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি ঘোষণা করলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দলীয় কোন্দল ও…

Mamata Banerjee announces huge financial compensation and job in Rampurhat incident

বীরভূমের বগটুই গ্রামের গণহত্যার (Rampurhat Massacre) পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি ঘোষণা করলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দলীয় কোন্দল ও বালি-পাথর খাদানের বেআইনি পাচারের লাভের বখরা নিয়ে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার জন্য সরকারি অর্থের নয় ছয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বগটুই গ্রামে গণহত্যায় নিহতরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। যারা মেরেছে তারা তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। প্রশ্ন ও কটাক্ষ এখান থেকেই শুরু। কেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দলীয় সংঘর্ষের খেসারত দিতে গিয়ে সরকারি টাকার জলাঞ্জলি হবে?

কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, মারল তৃণমূল, মরল টিএমসির সমর্থক আর জনগণের করের টাকায় ‘কল্পতরু’ ভূমিকা নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিফান্ড (দলীয় তহবিল) কেন উন্মুক্ত করল না।

গত সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তারপর শুরু হয় গণহত্যা। এই গ্রামে দশ জনকে খুন করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, টিএমসি নেতা ভাদু শেখের বিরুদ্ধে বালি ও পাথর খাদানের বেআইনি চালান ব্যবসার অভিযোগ স্পষ্ট। মৃত ভাদুর পরিবারের দাবি, ‘সবাইকে দিয়ে খেত ভাদু’। কী দিত তা কেউ স্পষ্ট না করলেও পাচারের ‘বখরা’ স্পষ্ট। উঠছে এমন অভিযোগ।

গণহত্যা সংঘটিত করার অভিযোগে ধরা পড়া আনারুল হোসেনের ‘বেআইনি রোজগার’ জ্বলজ্বল করছে এলাকায়। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি রাজমিস্ত্রি থেকে অট্টালিকা হাঁকানো আনারুল বালি ও পাথর খাদানের চোরা লেনদেনে জড়িত। ভাদু ও আনোয়ারুলের একই দল-তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দুজনেই আলাদা গোষ্ঠী। দুই গোষ্ঠীর মাঝে পড়ে মৃত ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক।
এই নিহত দশ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন,
(১) নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা
(২) ক্ষতিগ্রস্থদের ২ লক্ষ টাকা
(৩) নিহত ১০ জনের পরিবারে ১টি চাকরি। এক বছর তারা প্রতিমাসে ১০ হাজার বেতন পাবেন। পরে স্থায়ী হবেন।

সরকারি ক্ষতিপূরণ, তাই পুরো টাকাটাই সরকার বহন করবে। এখানেই প্রশ্ন, কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্কলহে ঘটা গণহত্যার পর দলের কোষাগার কেন উন্মুক্ত করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে বীরভূম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় তহবিলে প্রতি মাসে ঠিক কত কোটি জমা হয় তা দলনেত্রী মমতার চোখ এড়িয়ে যেতে পারেনা।