মমতার দপ্তরের নিয়োগে অনাস্থা আদালতের। এমনটাই বললেন অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal)। তিনি দাবি করেছেন, মমতা সরকারে নিয়োগ মানেই দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ। মেধার মূল্য নেই। শিক্ষা দপ্তরের দুর্নীতিতে সরকারি মন্ত্রী ও আমলারা জড়িত। আরও বড় মাথার খোঁজ চলছে।” আসলে আদালত স্বাস্থ্য দফতরে ১১ হাজার নিয়োগে নেতাদের মনোনয়ন কমিটি ভেঙে দেয় হাইকোর্ট। তা নিয়েই এই কথা বলেন ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে বিজেপি নেত্রী হয়ে ওঠা অগ্নিমিত্রা পাল।
তিনি বলেছেন যে, স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠল। এই দপ্তরের মন্ত্রী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। জেলা স্তরে রাজ্যের গঠন করা ২৮ জনের মনোনয়ন কমিটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। আদালত জানিয়েছে, গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাজ্য যে মনোনয়ন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।”
তাঁর কথায়, “প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থী নিয়োগ নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। ওই কমিটির বিষয়ে রাজ্যকে পুনর্বিবেচনাও করতে বলে বেঞ্চ।”
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “মনোনয়ন কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো শাসকদলের নেতারা। এই নেতাদের কোনও নিরপেক্ষতা নেই, আদালতের নির্দেশে আবার প্রমাণিত”।