সোমবার ময়নার (Mayna) বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার (Bijaykrishna Bhuiya) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার ময়নায় মিছিল করে উত্তাপ আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সূত্রের খবর, কিছুদিনের মধ্যে রাজ্য সফরে আসছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ৷ তাঁদের সফর অবধি ময়না ইস্যুতে আন্দোলন আরও জোরদার করতে চায় বিজেপি।
এর আগে একাধিকবার বঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে বৈঠকে কেন্দ্রের নেতাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের নেতারা নিজেদের ইস্যুকে সামনে রেখে লড়াই করুন৷ এমনকি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনেছিলেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডারা। বিজেপির জন্য সেই সময় এসে গেছে৷ এমনটাই রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে বাংলায় আসছেন বিজেপির দুই হাইকম্যান্ড৷ তার আগে ময়নায় বিজেপি নেতার মৃত্যুকে হাতিয়ার করে শাসক দলের ঘুম ওড়াতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিধায়ক অশোক দিন্দাকে সামনে রেখে পিছন থেকে লড়াইয়ের তীব্রতা বাড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ সমর্থনে পথে নামতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে৷ মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সুকান্ত মজুমদার৷ ময়না যেন গোটা বিজেপিকে এক মঞ্চে এনে দিয়েছে৷
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একাধিক কর্মীদের খুন হতে হয়েছে৷ সেকথা বিজেপি নেতাদের মুখে বারবার শোনা গেছে। কিন্তু বিজয়কৃষ্ণের মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট অবধি। দ্বিতীয়বার দেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এমনকি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তপশিলী জাতি ও উপজাতি ধারা যোগ করার জন্য। হাইকোর্টে বারবার পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার৷ আগামী দিনে ময়না ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়তে চলেছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।