Mamata Banerjee: মন্ত্রী পরেশের নাম কাটছেন মমতা, আর কারা বাদ? ঘুম উড়েছে অনেকের

মন্ত্রিসভার একেবারে ঝাড়াই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। কাউন্টডাউন শুরুও হয়ে গেছে৷ কারা থাকবেন কারা মন্ত্রীপদ হারাবেন এ যেন তৃণমূল নেতাদেরকেই এখন বড় প্রশ্ন চিহ্নের…

Mamata Banerjee

মন্ত্রিসভার একেবারে ঝাড়াই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। কাউন্টডাউন শুরুও হয়ে গেছে৷ কারা থাকবেন কারা মন্ত্রীপদ হারাবেন এ যেন তৃণমূল নেতাদেরকেই এখন বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, শুধুমাত্র সংগঠনের দিকে তাকিয়েই কি বদল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? নাকি দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের ঝাড়াই বাছাই করে সাইড লাইনে রাখতে চাইছেন।

আরও পড়ুন: SSC Scam: আরো কালো টাকার সন্ধানে কলকাতা জুড়ে ফের ইডি হানা শুরু

   

তৃণমূল সূত্রে খবর, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বহু নেতাদেরই৷ ঘরবন্দি হয়ে রাত গুনছেন অনেকেই৷ যদিও সাংগঠনিক রদবদলের দিনেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই তালিকায় একেবারে হাতেনাতে উদাহরণ সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র৷ মনে করা হচ্ছে, এক ব্যক্তি এক পদের কারণে মন্ত্রীপদ হারাতে পারেন তিনি। তবে তৃণমূলের অন্দরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিতি রয়েছে তাঁর। তাই আপাতত সৌমেন মহাপাত্রকে জেলার দায়িত্ব দিতে চায় তৃণমূল।

আরও পড়ুন: SSC Scam: আমার অনুপস্থিতিতে টাকা রাখা হয়েছিল, বিস্ফোরক অর্পিতা

একই কারণে অর্থাৎ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষকে মন্ত্রীপদ থেকে সরাতে পারেন মমতা৷ পাশাপাশি সরাসরি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পরেশ অধিকারীর নাম বাদ পড়ছে সেটা একবারে স্পষ্ট করেছে রাজনৈতিক মহল৷ কারণ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর সরব হয়েছিল বিরোধীরা৷ পার্থকে সরিয়ে দেওয়ার পর এখন বিরোধীদের ইস্যু পরেশকে সরানো৷ বিরোধীদের কথায় মান্যতা নয়, বরং স্বচ্ছতার স্বার্থেই বদল আনছেন মমতা৷ এমনটাই সূত্রে খবর৷

আরও পড়ুন: SSC Scam: বিধানসভায় পার্থের ঘর সিল করে দেওয়া হল

আরও দুটি নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷ প্রথম নামটি হল মলয় ঘটককে নিয়ে৷ কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার ইডির তরফে তলব করা হয়েছে তাঁকে৷ কিন্তু আইনমন্ত্রীর এত সহজে বদল করা হবে কি না, তা নিয়ে তৃণমূল শিবিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷

আরও পড়ুন: SSC scam: “বাংলার লজ্জা মমতা”, সংসদে ধর্নায় বিজেপি

দ্বিতীয়, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা। তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা সভাপতি পদে এখনও বহাল রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ কিন্তু শারিরীক অসুস্থতার কারণে সেভাবে আর দলের পুরভাগে তাঁকে রাখতে চাইছে না দল৷ সেইসঙ্গে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তরফে তলব করা হচ্ছে তাঁকে৷ এমত অবস্থায় জেলা সংগঠনের স্টিয়ারিং বকলমে চন্দ্রনাথ সিনহার হাতে তুলে দিতে চায় ঘাসফুল শিবির৷ তাই এবার চন্দ্রনাথ সিনহাকে মন্ত্রীপদ থেকে অব্যহতি দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: SSC Scam: উঠল দাবি ‘মমতা ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের সম্পত্তি দেখুক ইডি’

যদিও এবিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। কর্মীরাও অপেক্ষা করছেন হাইকম্যান্ডের নির্দেশের দিকে৷ তবে বিরোধীদের বক্তব্য, গোটা তৃণমূল দলটাই আগাগোড়া দুর্নীতিতে জড়িত। তাই অপেক্ষাকৃত কম অভিযুক্তদের সামনে এনে স্বচ্ছতার নজির গড়তে চাইছে শাসক দল৷