Ukraine War: ইউক্রেন পার্লামেন্ট ভবনের সামনে মৃত্যুদূত রুশ বোমারু কপ্টার

এ যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বার্তা। সেই বার্তা নিয়ে ইউক্রেন সংসদ ভবনের সামনে হাজির রুশ বোমারু কপ্টার। তার ভয়াল উপস্থিতি এমনই যে ইউক্রেনের সংসদ ভবনের…

এ যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বার্তা। সেই বার্তা নিয়ে ইউক্রেন সংসদ ভবনের সামনে হাজির রুশ বোমারু কপ্টার। তার ভয়াল উপস্থিতি এমনই যে ইউক্রেনের সংসদ ভবনের রক্ষীরা মুষড়ে পড়েছেন। রুশ বোমারু কপ্টার যেন মৃত্যুদূতের মতো এসেছে। ছবিটি দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে গেল। (Ukraine War)

বিবিসি জানাচ্ছে, ইউক্রেন সরকারের যাবতীয় প্রতিরক্ষা এখন রাজধানী কিয়েভের কিছু মোড়ে। সেখানে ব্যারিকেড করা হয়েছে। রয়টার্সের খবর, বাংকারে চলে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি কি যুদ্ধ করবেন নাকি আত্মসমর্পণ তা এখনও নিশ্চিত নয়।

রুশ সংবাদ মাধ্যম RT জানাল, দেশটির রাজধানী কিয়েভের অতি নিকটে বিমান ঘাঁটি দখল করা হয়েছে।পুরো ভেঙে গেছে ইউক্রেন ডিফেন্স লাইন। ঝটিকা আক্রমণে রুশ সেনার কব্জায় চলে গেছে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার বাহিনী। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে একথা।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, কিয়েভে রুশ ঘাতকদের টার্গেটের তালিকায় তিনি এক নম্বরে আছেন। ঘাতকরা তাকে ও তার পরিবারকে খুঁজছে।  এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইউক্রেনীয় নাগরিকদের আটক অথবা হত্যার একটি হিট লিস্ট তৈরি করছে রাশিয়া। 

সর্বশেষ ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, অনেক ভূয়ো তথ্য এবং গুজব এখন ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি হলো আমি কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছি। আমি কিয়েভে থাকব, আমি আমার জনগণের সঙ্গে থাকব।আমার পরিবার বিশ্বাসঘাতক নয়, কিন্তু ইউক্রেনের নাগরিক।

প্রশ্ন উঠছে, রাশিয়ার হাতে বন্দি হতে চলা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরিণতি কী হবে?  ইউক্রেনের রুশপন্থী গোষ্ঠীদের যুক্তি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে জেলেনেস্কিকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। তবে রাশিয়া সরকার এ বিষয়ে কিছুই বলেনি।