Lifestyle : ভাতঘুম কি শুধুই শান্তির নাকি সুস্থতারও?

অধিকাংশ বাঙালিদের জীবনেই দুপুরে একটু ভাতঘুম না দিলে যেন চলে না । অনেকের কাছে দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুমানো খুব প্রিয় । আবার দুপুরের ঘুম অনেকের…

অধিকাংশ বাঙালিদের জীবনেই দুপুরে একটু ভাতঘুম না দিলে যেন চলে না । অনেকের কাছে দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুমানো খুব প্রিয় । আবার দুপুরের ঘুম অনেকের কাছেই বিলাসিতা। এই দুপুরের ঘুম নিয়ে নানান জনের নানান মত। অনেকেরই ঘোরতর আপত্তি আছে এই ভাতঘুম নিয়ে। মনে করা হয়, এটি অসময়ের ঘুম। এতে বাড়তে পারে স্থুলতা ।

আসলেই কি তাই? একেবারেই না! বরং, দুপুরের ঘুম শরীর (Body) আর মনকে (Mind) চাঙ্গা রাখতে দারুণ কাজ করে। জানুন, ভাতঘুমের উপকারীতার কথা।

১) গবেষণা বলছে, আপনাকে ঘুমের জন্য বিশেষভাবে ভাবতে হবে যদি আপনার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয়ে থাকে। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের দুপুরে অন্তত ২ ঘন্টা ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে সেই পরিমাণটা যেন ২ ঘন্টারও বেশি না হয়। বিশেষজ্ঞদের তেমনটায় মত ।

২) দুপুরের ঘুম আপনার স্মৃতিশক্তিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে । যারা দুপুরে অন্তত আধঘণ্টা ঘুমান, তাদের মস্তিষ্ক (Brain) অন্যদের থেকে বেশি ক্ষুরধার হয়, এমনই উঠে এসেছে বেশকিছু গবেষণায়।

৩) দুপুরের ঘুমের ফলে ব্লাড প্রেসার (Blood pressure) নিয়ন্ত্রণে থাকে । রাতের ঘুমের থেকে অনেক শান্তিতে দুপুরের ঘুম হয়। গবেষণা বলছে, এ সময় ঘুমে স্নায়ুর ওপর চাপ কমে। মন ভালো হয়।

৪) সৃজনশীলতা (Creativity) বাড়াতে সাহায্য করে ভাতঘুম। ঠিকভাবে যদি দুপুরে ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার সৃজনশীলতা বাড়তে বাধ্য। দুপুরে ঘুমে মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয় খুব ভালো, ফলে চিন্তা শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

৫) কাজের ফাঁকে অন্তত ২০ মিনিট এই ভাতঘুমে দিতে পারলে পঞ্চ ইন্দ্রিয় (Five Senses) আরও সজাগ ও সতেজ হয়ে উঠে। আর পঞ্চ ইন্দ্রিয় সক্রিয় থাকলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।