Myanmar: শিশুকন্যাদের বেঁধে নির্মম প্রহার বর্মী সেনার, নিখোঁজদের মৃত্যু আশঙ্কা

News Desk: আকাশে চিলের মতো চক্কর কাটছে বর্মী সেনার হেলিকপ্টার। নিচে যে যেখানে পারছেন মাথা গুঁজে জীবন রক্ষা করছেন। মায়ানমারে গণহত্যার পরপর সংবাদ আসছে। পরিস্থিতি…

myanmar-army

News Desk: আকাশে চিলের মতো চক্কর কাটছে বর্মী সেনার হেলিকপ্টার। নিচে যে যেখানে পারছেন মাথা গুঁজে জীবন রক্ষা করছেন। মায়ানমারে গণহত্যার পরপর সংবাদ আসছে। পরিস্থিতি ক্রমে আরও রক্তাক্ত হওয়ার আশঙ্কা। এরই মাঝে ভয়াবহ ছবি প্রকাশ হয়েছে। একের পর এক মহিলা, শিশুকন্যা বন্দি। তাদের মুখে রক্তের দাগ। নির্মম আঘাত যে হয়েছে তা স্পষ্ট।

বিভিন্ন সূত্রে kolkata24x7.in এর কাছে এসেছে মায়ানমারে সামরিক অভিযানের কিছু ছবি। ভারত ও মায়ানমার সীমান্তের সাগাইং রাজ্যের। মিজোরাম সংলগ্ন এলাকাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহ শুরু করেছে।

   

এই এলাকায় বর্মী সেনার অভিযানে বন্দি হন চিন ও মিজো জাতির অনেকে। বেশিরভাগই মহিলা ও শিশুকন্যা। বিশেষ সূত্রে kolkata24x7.in জানতে পেরেছে ধৃতদের অনেকেই স্থানীয় চিনল্যান্ড ফোর্সের চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। বন্দি মহিলা ও কন্যাদের ছবিতে স্পষ্ট তাদের উপর আমানুষিক নির্যাতন চলেছে। সূত্রের খবর, অনেক বন্দি শিশুকন্যা নিখোঁজ। তাদের খুন করা হয়েছে বলেই আশঙ্কা।

মায়ানমারের সাগাইং প্রদেশে বিদ্রোহী চিন জাতির ক্ষমতা। বর্মী সেনার বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র প্রতিরোধ চলছে। চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের এই প্রত্যাঘাতে বর্মী সেনার অনেক সদস্য ধৃত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র সম্ভার।

সেনা শাসনের বিরোধিতায় মায়ানমার রক্তাক্ত। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী সেনার উপর হামলা শুরু করায় আরও জটিল পরিস্থিতি। বিবিসি জানাচ্ছে, গণহত্যার একের পর এক ছবি ও তথ্য বেরিয়ে আসছে মায়ানমার থেকে। যারা কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন তাদের অনেকেই গোপনে নির্যাতন ও খুনের ভিডিও তুলেছেন। সেই ছবির ভিত্তিতে স্পষ্ট বর্মী সেনার নির্মমতা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারে রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থান হয়। জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত আউং সান সু কি-এর দলকে ফের ক্ষমতা না দিয়ে সরকারের পতন ঘটান বর্মী সেনার প্রধান জেনারেল মিং অন হ্লাইং। তিনিই এখন মায়ানমারের সামরিক সরকারের সর্বেসর্বা।