Omicron in Kolkata: শহরে আরও ২ জন ওমিক্রন আক্রান্ত

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা : আরও ২ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের হদিশ মিলল রাজ্যে। লন্ডন এবং নাইজেরিয়া ফেরত ২ জনের দেহে মিলল নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান। করোনার (Corona)…

40,000 infected daily, the recovery rate is declining in the country

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা : আরও ২ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের হদিশ মিলল রাজ্যে। লন্ডন এবং নাইজেরিয়া ফেরত ২ জনের দেহে মিলল নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান। করোনার (Corona) নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত ১৯ বছরের এক তরুণ। তিনি ব্রিটেন থেকে শহরে এসেছিলেন।

স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, জেনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য ৩টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ২টোতে ওমিক্রন (Omicron) ধরা পড়েছে। একজন করোনার ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত। এদের প্রত্যেককেই কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনে আক্রান্তরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, সেই খোঁজ শুরু হয়েছে। 

   

এদিকে দেশে ২০০-র গণ্ডি পেরিয়েছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন (Omicron)। ফলে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সামনেই উৎসবের মরসুম। তার আগে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দেন। সংক্রমণ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এলাকাভিত্তিক ও জেলাস্তরে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। 

পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতা বিমানবন্দরে আসা যেসকল আন্তর্জাতিক যাত্রী কোভিড পজিটিভ হবেন, তাঁদের সবাইকে রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া হেলথ ফেসিলিটিতে থাকতেই হবে। বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে কোনও হোম আইসোলেশন চলবে না। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে ফেরার ১৪ দিনের মধ্যে যদি কোনও ‘হাই রিস্ক’ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কেউ কোভিড পজিটিভ হন, তাহলে তাঁদেরকেও হাসপাতালের আইসোলেশনেই থাকতে হবে। জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁদের হাসাপাতালের আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি হাসপাতালের আইসোলেশনেও এদের অন্য কোভিড রোগীদের থেকে আলাদা জায়গায় রাখতে হবে। এরপর জেনোম সিকোয়েন্সিং রিপোর্টে যদি কারও ওমিক্রন (Omicron) পজিটিভ ধরা পড়ে, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁদের ২ বার RT-PCR টেস্ট করতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাবে না।