Health Tips: জানেন কি জ্বরঠুঁটো কেন হয়? কী রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে?

অনলাইন ডেস্ক: আমাদের অনেকের ধারণা রাতে রাতে জ্বর আসলেই নাকি জ্বরঠুঁটো হয়। আসলে কতটুকু সত্যি তা আমরা আজকের লেখা থেকে জানতে চেষ্টা করব। জ্বরঠুঁটো সত্যিকারে…

reason behind cold sores

অনলাইন ডেস্ক: আমাদের অনেকের ধারণা রাতে রাতে জ্বর আসলেই নাকি জ্বরঠুঁটো হয়। আসলে কতটুকু সত্যি তা আমরা আজকের লেখা থেকে জানতে চেষ্টা করব। জ্বরঠুঁটো সত্যিকারে শুধুমাত্র জ্বরের কারণে হয়ে থাকে না। এর একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। আজকে এটি সম্পর্কে আমরা জানাব।

ঠোটের কোণায় কিংবা বর্ডারে একগুচ্ছ ফুসকুড়ি। সাধারণভাবে আমরা একে বলে থাকি জ্বরঠোস, জ্বর-ঠোসা বা জ্বরঠুঁটো। এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলেন। প্রকাশ পাবার ২-৩ দিনের মধ্যে ব্লিস্টারে ব্যথা অনুভব হলে তখন একে বলা হয় কোল্ড সোর।

কেন হয়: সাধারণভাবে আমরা মনে করি জ্বর আসার লক্ষণ হিসেবে এই ফুসকুড়ি উঠেছে। আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের কারণেই জ্বর আসে! তবে হ্যাঁ,জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে যদি সেই জ্বর অন্যকোন ইনফেকশনের কারণে হয় যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।

সাধারণভাবে ৭-১৪ দিন উপসর্গ বর্তমান থাকলেও ৮-১০ দিনের মধ্যে মধ্যে ফিভার ব্লিস্টার এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে প্রথম সপ্তাহে অ্যান্টি-ভাইরাল জেল লাগালে আরোগ্যে দ্রুত হয়।

তবে ১৪ দিনের বেশি সময় ব্যাথাযুক্ত ফিভার ব্লিস্টার থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খালি চোখে দেখেই ফিভার ব্লিস্টার সনাক্ত করা সম্ভব। তবে ব্লিস্টারের ভিতরের তরল থেকে ডিরেক্ট ইমিউনোফ্লুরোসেন্স টেস্ট বা পলিমারেজ চেইন রিএ্যাকশনের মাধ্যমে ভাইরাস সনাক্ত করা যেতে পারে।