Ukraine Crisis: আগ্রাসনের প্রভাব অর্থনীতিতে, রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার

জার্মানি ও ব্রিটেনের পর রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার জানিয়েছেন রাশিয়াকে পশ্চিমের দেশগুলির আর্থিক সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন করা…

জার্মানি ও ব্রিটেনের পর রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার জানিয়েছেন রাশিয়াকে পশ্চিমের দেশগুলির আর্থিক সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার বিরুদ্ধাচরণ করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, “আমরা দুটি রুশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। রাশিয়া আর পশ্চিমের দেশগুলির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না বা পশ্চিমের বাজারে বাণিজ্য করতে পারবে না। আগামীকাল থেকে আমরা রাশিয়ান অভিজাত এবং তাদের পরিবারের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।”

প্রসঙ্গত সোমবার সকালের দিকে জার্মানি এবং ব্রিটেন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কথা সামনে আসে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ নর্ড স্ট্রিম প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের জন্য সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন। এটি সরাসরি রাশিয়াকে জার্মানির মাধ্যমে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করে। ব্রিটেন পাঁচটি রুশ ব্যাংক এবং তিনজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদক্ষেপের “প্রথম ধাপ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কারণ তারা রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে আর্থিক সাহায্য করছে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল – দোনেস্ক এবং লুগানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করেছেন। পুতিন ইউক্রেনের রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহায়তা চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছেন। অর্থাত মস্কো এখন “শান্তি রক্ষা” ব্যবস্থা হিসাবে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে তার সৈন্য নিয়ে যেতে পারবে।