Bangladesh: ছুরির কোপে মৃত্যু হতে পারত, মৌলবাদী ছেলেটার জন্য ‘মায়া’ হয় জাফর ইকবালের

যে এসেছিল খুন করতে তার জন্য মায়া হয়!বাংলাদেশের (Bangladesh) নন্দিত বুদ্ধিজীবী ও যুক্তিবাদী লেখক ড. জাফর ইকবালের এমনই অবস্থান। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সিলেটের শাহজালাল…

যে এসেছিল খুন করতে তার জন্য মায়া হয়!বাংলাদেশের (Bangladesh) নন্দিত বুদ্ধিজীবী ও যুক্তিবাদী লেখক ড. জাফর ইকবালের এমনই অবস্থান। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা ছাত্র ফয়েজ ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করেছিল। সেই ফয়েজ ধরা পড়ে ঘটনাস্থলে।

যুক্তিবাদী লেখক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালকে খুন করতে এসেছিল ধর্মান্ধ ফয়েজ। তার ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন ড. জাফর ইকবাল। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোড়ন ছড়ায়। পরে ঢাকায় চিকিৎসার পর সুস্থ হন বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক। এই হত্যার চেষ্টা মামলায় হামলাকারী ফয়জুল হাসান ফয়েজের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ফয়েজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তার বন্ধু সোহাগ মিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মামলা থেকে ফয়েজের বাবা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও ভাই এনামুল হাসানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় প্রথিতযশা অধ্যাপক বলেন, ওই ছেলেটার জন্য মায়া হয়। তাঁর এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। হামলাকারীর উপর ব্যক্তিগত কোনও রাগ নেই বলেও জানান তিনি।

প্রধান আসামির বিরুদ্ধে রাগ না থাকলেও ফয়েজকে যে বা যারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছে, তাদের ওপরে ক্ষোভ রয়েছে ড. জাফর ইকবালের। তিনি বলেন, যে মানুষগুলো বা যে সিস্টেম তাদের রেডিকেলাস (মৌলবাদী) করে, জঙ্গি তৈরি করে দেয় যে, আমাকে বা আমার মতো অন্য আরেকজনকে মারলে তারা বেহেশতে যাবে, সেই মানুষগুলোর ওপর আমার ক্ষোভ আছে। কাজেই ব্যক্তিগতভাবে তাকে শাস্তি দিয়ে আমার ভেতরে কোনও আনন্দ নেই। যদি ওই ধরনের প্রচার বন্ধ করতে পারতাম, তাহলে হয়ত আমি শান্তি পেতাম।

যুক্তিবাদী ড. জাফর ইকবাল বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের হিটলিস্টে আছেন। তিনি বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের একজন নেতা। নন্দিত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ভাই ড. জাফর ইকবাল আন্তর্জাতিক পরিচিতি আছে।