‘ইস বার, ২০০ পার’ বাংলায় এই স্লোগানকে সামনে রেখেই নির্বাচনের আগে প্রচার করেছে বিজেপি। কিন্তু ৭৭ গণ্ডি পার করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। অন্যদিকে জোটের কারণে বাংলায় ভোট খুইয়ে শূন্য হয়েছে বামফ্রন্ট। তবে গত এক বছরে বদলে গেছে পরিস্থিতি। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের কামব্যাক বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এক বছরে সিপিআইএমের উত্থান চমকপ্রদ। বিজেপির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে তারা।
গত এক বছরের মধ্যে কলকাতা সহ সারা রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামফ্রণ্ট। বিরোধী দল হয়েও একটি পুরসভা দখল করতে পারেনি বিজেপি। আর শূন্য সিপিআইএমের দখলে নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা।
কলকাতা পুরনিগমে দ্বিতীয় ও বালিগঞ্জের বিধানসভা উপায়ে নির্বাচনে সিপিআইএমের উত্থানে বিজেপি আশঙ্কিত। বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জয়ী হলেও আলোচনা সবথেকে বেশী হয়েছে বাম প্রার্থী শায়রা শাহ হালিমকে নিয়ে।
অন্যদিকে আসানসোলের জয়ী লোকসভা আসনটাও খুইয়ে বসেছে মুরলীধরের নেতারা। এর জন্য শাহর কঠিন প্রশ্নের মুখে অবশ্যই পড়তে হতে পারে সুকান্ত মজুমদারদের।
সিপিআইএম সূত্রে খবর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে চাইছেন মহম্মদ সেলিম। বসে থাকা নেতাদের তুলে আনাই এখন তাঁদের প্রথম কাজ। অন্যদিকে, নতুন তৃণমূল ভবনে বসে আগামী দিনের কর্মসূচি আজই বলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দলীয় কোন্দলের জেরে জীর্ণ বিজেপির অবস্থা কী হবে? কোন বিশল্যকরণী দিল্লি থেকে নিয়ে এলেন অমিত শাহ?
বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় বাংলার রাজনীতি খুব ভালোভাবেই বোঝেন অমিত শাহ। তাঁর সভাপতিত্বেই ২ থেকে ১৮ করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। এখন সেটা ফেরানোই বিজেপির জন্য কঠিন পরীক্ষার সমান। কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে পর্যবেক্ষক বদলের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননদের পর এবার আরও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের নেতৃত্বকে চাইছে বাংলা।