ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে…অস্ট্রেলিয়া বসাবে গাছ!

পুলক ব্যানার্জি লিখেছিলেন, মান্না দে গেয়েছিলেন- ‘ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে সামলে রাখো জোছনাকে/কারো নজর লাগতে পারে…’  মনের ভিতর সেই চাঁদ ধরে রেখেছেন বাঙালি শ্রোতারা।…

পুলক ব্যানার্জি লিখেছিলেন, মান্না দে গেয়েছিলেন- ‘ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে সামলে রাখো জোছনাকে/কারো নজর লাগতে পারে…’  মনের ভিতর সেই চাঁদ ধরে রেখেছেন বাঙালি শ্রোতারা। এ চাঁদে জোছনা আসে। অমাবস্যা পূর্ণিমার আলো আঁধার খেলা করে। বহুদূরে পৃথিবীতে সেই জোছনা ছায়া ধরা পড়ে। হয়ত এই খেলাকেই সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন ‘জোছনা বিলাস’। এমন জোছনা বহুল মায়াবী চাঁদ (Moon) আসলে রুক্ষ জলহীন এক উপগ্রহ। সেখানেই বিজ্ঞানীরা গাছ রোপন (Plants on moon) করবেন। এমন এক অভিনব গবেষণা চলছে।

  • চাঁদ গবেষণায় সাড়া জাগানো ঘোষণা কু়ইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। 
  • অস্ট্রেলিয়া ও ইজরায়েলের যৌথ উদ্যোগ।
  • চাঁদকে মানুষের বসবাসযোাগ্য করতে গবেষণা।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলির খবর চাঁদের মাটিতে গাছ বসিয়ে বনাঞ্চল তৈরির গবেষণা করছেন অস্ট্রেলিয়া ও ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা।  ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে গাছ রোপন করা হবে।

বিবিসির খবর, চাঁদের বুকে মানববসতি গড়ে তোলার কাজে সহায়ক ভূমিকা নিতে অস্ট্রেলিয়া এমন অভিনব অভিযানের ঘোষণা করল। কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উদ্ভিদ-জীববিজ্ঞানী ব্রেট উইলিয়ামস জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বেসরকারি মহাকাশযান বেরেসিত-২ চাঁদের মাটিতে গাছের বীজ নিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, মহাকাশ যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। তারপর গাছের বীজ একটি বদ্ধ জায়গায় রেখে জল দিতে থাকবে প্রযুক্তির সাহায্যে। সেই বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হবে বলেই গবেষণার প্রাথমিক ফল এসেছে।

অস্ট্রেলিয়া ও ইসজরায়েলের বিজ্ঞানীদের লুনারিয়া ওয়ান নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্প চালাচ্ছেন।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, চাঁদে গাছ জন্মানোর বিরূপ পরিস্থিতি। এর মধ্যেও কোন গাছ বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারে এবং কত দ্রুত অঙ্কুরিত হতে পারে তার ভিত্তিতে এই চন্দ্রাভিযানের জন্য উপযোগী গাছের বীজ বাছাই করা হবে।

কুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার এক প্রকারের দীর্ঘজীবী ঘাস হয়। চাঁদের মাটিতে গাছ তৈরির জন্য এই ধরনের ঘাস বেছে নেওয়া হয়েছে। এমন ঘাস জল ছাড়াই দীর্ঘদিন বাঁচে।