গত ফুটবল মরশুমের শুরুতে দলের ধারাবাহিকতার অভাব থাকলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun)। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় লেগ থেকেই এক অন্য ছন্দে ধরা দেয় সবুজ-মেরুন। তারপর সকলকে চমকে দিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয় হুয়ান ফেরেন্দোর ছেলেরা।
সেখানেই শেষ নয়, প্রবল দাপটের সাথে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ জয় করার পর সুপার কাপকে পাখির চোখ করে এগোতে শুরু করেন বাগানের হেডস্যার। সেই পরিকল্পনা অনুসারে একই ভঙ্গিমায় হিরো সুপার কাপ শুরু করে মনবীর- প্রীতমরা। তবে প্রথম ম্যাচে আই লিগের শক্তিশালী দল গোকুলাম কেরালা এফসি-কে বড় ব্যবধানে পরাজিত করলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে জামশেদপুর এফসির কাছে মুখ থুবড়ে পড়তে হয় তাদের। এমনকি শেষ ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে।
তবে সেসব এখন অতীত। কেরালা থেকে ফিরে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়েই এএফসি কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে পালতোলা নৌকা। সেইমতো গত রবিবার থেকেই টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচের তৈয়ারি শুরু করে দেন হুয়ান ফেরোন্দো। প্রথম দিকে দলের রক্ষনভাগকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের রক্ষন ভেঙে গোল করার দিকেও নজর দেন বাগান কোচ। তারপর দলের দুই উইং-কে সচল রাখার জন্য মনবীর, লিস্টন ও আশিক কুরুনিয়ানদের বিশেষ অনুশীলন করান তিনি। এক কথায় বলতে গেলে দলের দুই উইং-কে কাজে লাগিয়েই গোল তুলে নিতে চান এই আইএসএল জয়ী কোচ।
তবে এবার সকলকে দুটি দলে বিভক্ত করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করান স্প্যানিশ কোচ। একদিকে দলের রক্ষন সামলান স্লালভো ডামজানোভিচ ও ব্রান্ডন হ্যামিল ও অন্যদিকে থাকেন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল ও তিরি। পাশাপাশি গোলে শট ও সিচুয়েশন প্রাকটিস ও করানো হয় ম্যাকহিউ, বুমোস, কাউকে ও দিমিত্রিদের। তবে গত দিন অনুশীলন চলাকালীন পায়ে চোট পাওয়ার দরুন আজ আর মাঠে নামেননি আশিস রাই। তার বদলে ড্রেসিং রুমেই রিহ্যাব সারেন তিনি।