East Bengal: লাল-হলুদের কোচ বদল ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য কনস্ট্যানটাইনের

গতবছর বহু প্রত্যাশা নিয়ে কনস্ট্যানটাইনকে দলের দায়িত্ব দিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেইমতো আইএসএলের শুরুর দিকে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে ও ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথে ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকে লাল-হলুদ শিবির।

Stephen Constantine speaking to the media

গতবছর বহু প্রত্যাশা নিয়ে কনস্ট্যানটাইনকে দলের দায়িত্ব দিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেইমতো আইএসএলের শুরুর দিকে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে ও ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথে ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকে লাল-হলুদ শিবির।

যারফলে, লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে থেকেই নিজেদের অভিযান শেষ করে লাল-হলুদ শিবির। সেইসাথে থেকে যায় পড়শি ক্লাব এটিকে মোহনবাগানের কাছে টানা আটবার ডার্বি হারার যন্ত্রনা। তাই আইএসএল শেষ হওয়ার পরেই নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসে সাবেক ক্লাব কর্তারা। ঠিক করা হয়, সুপার কাপের পরেই বদলে ফেলা হবে দলের কোচ। সেইমতো কয়েকদিন আগেই ক্লাবের অফিসিয়াল পেজ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের বিদায়ের কথা। তারপর মাত্র ঘন্টা তিনেক পরেই কার্লোস কুয়াদ্রাত কে নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করে মশাল ব্রিগেড। যা দেখে খুশি আপামর লাল-হলুদ জনতা।

তবে এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চাকরি হারানোর পর বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গল হল ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা একটি ক্লাব। যাদের কাছ থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করা একেবারেই ভুল নয়। ওরা তিনবছর আইএসএল খেলছে, যার মধ্যে এবার সবথেকে বেশি পয়েন্ট সবথেকে বেশি গোল সর্বপরি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতে লিগের অভিযান শেষ করেছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয়দের মধ্যে সবথেকে বেশি অ্যাসিস্ট থেকেছে আমাদের নাওরেম মহেশ সিংয়ের। পাশাপাশি গোল্ডেন বুটের লড়াইতে ও ছিল আমাদের বিদেশি তারকা ক্লেটন সিলভা। কিন্তু আমরা প্লে অফে সুযোগ করতে পারিনি। এখন এটাই ইস্যু করা হচ্ছে।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমরা গত বছর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনুশীলন শুরু করেছিলাম। সেই সময় মাত্র ১২ জনকে আমরা পেয়েছিলাম। তাছাড়া বাকি দলগুলোর অনুশীলন শুরু করার প্রায় ৪২ দিন পর থেকে আমরা শুরু করেছিলাম। সেক্ষেত্রে আমি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম যে দল প্লে অফে কোয়ালিফাই করবে না। তাছাড়া যেসমস্ত ভারতীয় ফুটবলারদের আমি চেয়েছিলাম তাদের পাইনি। সেইসাথে উপযুক্ত বিদেশী ফুটবলারদের ও আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব হয়নি। তবুও অন্যান্য মরশুম গুলোর তুলনায় এবারের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো।

তাহলে কেন অন্যান্য দলের থেকে পিছিয়ে যেতে হল লাল-হলুদকে? এর উত্তর দিতে গিয়ে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ বলেন, দলের ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। শেষ চার বছরে ইস্টবেঙ্গল ১০ বার কোচ বদলেছে। আমি ছিলাম ১১তম। এখানেই শেষ না করে তিনি বলেন, বাকিদের থেকে আমিই একমাত্র কোচ যে গোটা মরশুমে দলের দায়িত্বে ছিল। আমি কৃতজ্ঞ যে ওরা আমাকে গোটা সিজন দায়িত্বে রেখেছিল। তবে এবার ও দলের কোচ বদল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আবারও সমস্যায় পড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কারন বছর বছর কোচ বদল করলে খেলোয়াড়দের ও বদল করতে হয়। সেক্ষেত্রে সাফল্যের পথে বাঁধা আসাটাই স্বাভাবিক।