উৎসবের আবহে ১৯৬৩ সালের ‘বক্সিং ডে’ সপ্তাহ ফুটবলের ইতিহাসেও রেকর্ড গড়েছিল

Sports desk: ‘বক্সিং ডে’ দিবস, যা ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পালিত হয়ে থাকে। দুনিয়া জুড়ে উৎসবের এই আবহে বাইশ গজের উত্তেজনার পারদ, ফুটবলে…

Sports desk: ‘বক্সিং ডে’ দিবস, যা ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পালিত হয়ে থাকে। দুনিয়া জুড়ে উৎসবের এই আবহে বাইশ গজের উত্তেজনার পারদ, ফুটবলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ডিভিশনের খেলাগুলোকে শীতের হিমেল পরশেও তপ্ত করে তুলেছিল,৫৩ বছর আগে, সর্বোচ্চ গোল সংখ্যার নিরিখে।

 

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আজ থেকে ৫৩ বছর আগে গোলের সর্বোচ্চ আধিক্য দেখেছিল। মোট ৬৬ টি গোল, প্রথম ডিভিশনে মোট ১০ ম্যাচে, ১৯৬৩ সালে। বার্নলির কাছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬-১ গোলে হার এবং ফুলহ্যাম ১০ গোল করে,ইপসউইচ টাউনের বিরুদ্ধে, ‘বক্সিং ডে’ সপ্তাহে।

 

ক্রিসমাস সময়কালে সমর্থকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য ফিক্সচারের একটি সম্পূর্ণ সেট সহ বক্সিং ডে ফিক্সচার সবসময়ই ফুটবল ভক্তদের জন্য একটি প্রিয় সময়।

 

কিন্তু কোনো বছরই ১৯৬৩ সালের মতো এতটা বিনোদনমূলক ফিক্সার ছিল না, যখন উৎসবের আবহতে খেলায় অসাধারণ ৬৬ টি গোল হয়েছিল।

 

ওই মরসুমে শুধুমাত্র ১০টি দুরন্ত ম্যাচের একটি খেলাও গোলশূন্যতে ড্র হয়নি, তবে পুরো বিভাগে মাত্র দুটি দল গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

 

ওয়েস্ট হ্যাম ফুটবল দলের গোলরক্ষক জিম স্ট্যান্ডেন ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে আট গোলের লজ্জার হারের কারণে টিম থেকে সরে যান।বার্নলির হয়ে অ্যান্ডি লোচহেড (রাইট উইঙ্গার) চার গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল।

 

১৯৬৩ সালের ওই ফেস্টিভ মুডে চেলসির জন্য বড় জয় ছিল ব্ল্যাকপুলের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলের ব্যবধানে, আবার বার্নলির হয়ে অ্যান্ডি লোচহেডের চার গোলের সুবাদে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬-১ গোলে হেরে যায়। এবং লিভারপুল স্টোকের কাছে ৬-১ গোলে ঘরের মাঠে, ওই ম্যাচে রজার হান্টের চার গোলের দৌলতে জয় ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু এমন কয়েকটি স্কোরলাইন খেলার রেজাল্টে উঠে আসে যা চাকচিক্যের উজ্জ্বলতাকেও ম্লান করে দিয়েছিল।

 

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ফুলহ্যাম বনাম ইপসউইচের বিরুদ্ধে ম্যাচ, ওই ম্যাচে ক্রেভেন কটেজে ইপসউইচ টাউনকে ১০ গোলের মালা পেরিয়েছিলেন, যার মধ্যে গ্রাহাম লেগাটের চারটি গোল ছিল।

 

অন্যদিকে, ব্ল্যাকবার্ন বনাম ওয়েস্ট হ্যামের মুখোমুখি খেলায় লন্ডনে ৮-২ ব্যবধানে জিতেছিল,ব্ল্যাকবার্ন।

 

১৯৬৩’র ‘বক্সিং ডে’ উৎসবের আবহে নটিংহ্যাম ফরেস্ট বনাম শেফিল্ড ইউনাইটেড এবং উলভস বনাম অ্যাস্টন ভিলার মধ্যে দুই ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল এবং ওয়েস্ট ব্রম এবং স্পার্স আরও একটি করে ম্যাচে চার গোলে ড্র করেছিল।

 

জিমি গ্রিভস ওয়েস্ট ব্রমের জয়ে জোড়া গোল করে স্পার্স ব্যাগিসের বিরুদ্ধে ৪-৪ গোলে ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ফুটবলার রজার হান্ট ১৯৬৩ সালে বক্সিং ডে-তে চারবার গোল করা তিনজন খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন ছিলেন।

 

প্রসঙ্গত, ‘বক্সিং ডে’ সেশনে ২৬-৩০ ডিসেম্বর ফেস্টিভ মুডের মাত্র দু’দিন পরে, সমস্ত ক্লাবগুলি বিপরীত ফিক্সচারে ম্যাচ খেলেছিল এবং ওই ফিক্সারে সম্পূর্ণ উল্টো ফলাফল হয়েছিল,যা ১৯৬৩ সালের ‘বক্সিং ডে’ ম্যাচের ফলাফলকে উড়িয়ে দিয়েছিল।

 

‘বক্সিং ডে’ পরবর্তী ফিক্সারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শুধু বার্নলির কাছে তাদের পরাজয়ই উল্টে দেয়নি, সঙ্গে নিজেদের একটি থ্র্যাশিংও দিয়েছিল, নয় গোলের সুইং, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৫-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল,বার্নালির বিপক্ষে।

 

ওয়েস্ট হ্যাম ঘরের মাঠে তাদের ছয় গোলের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল ইউড পার্কে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে। অন্যদিকে ইপসউইচ টাউন মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিল বক্সিং ডে পরবর্তী ফিক্সারে খেলতে নেমে ফুলহ্যামের দলের বিরুদ্ধে, ৪-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের সর্বকালের রেকর্ড জয়ের মাইলস্টোন গেঁথে দিয়েছিল।