ভগবানের হাত দিয়ে গোল বাঁচিয়ে মারাদোনার আগেই দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন এই কিংবদন্তী

লিওনেল মেসি বা ডিয়েগো মারাদোনা যতটা প্রচারের আলোতে এসেছে, আর্জেন্টাইন ( Argentina) প্রথম বিশ্বকাপ (১৯৭৮) বিজেতা “মারিও কেম্পেস” তার ধারেকাছেও নেই!! অথচ, বিশ্বকাপের খেলা অনুযায়ী…

former footballer Mario Kempes

লিওনেল মেসি বা ডিয়েগো মারাদোনা যতটা প্রচারের আলোতে এসেছে, আর্জেন্টাইন ( Argentina) প্রথম বিশ্বকাপ (১৯৭৮) বিজেতা “মারিও কেম্পেস” তার ধারেকাছেও নেই!! অথচ, বিশ্বকাপের খেলা অনুযায়ী মেসি তো আগেই বাদ, ম্যারাডোনা-ও কেম্পেসের অতিমানবিক পারফরম্যান্সের কাছে আসতে পারবে না।

ইতিহাসের ৩ জন প্লেয়ার এখন পর্যন্ত একই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট জিততে পেরেছে। কেম্পেসের নাম সেই লিস্টে আছে। বাকি দু’জন?
ইতিহাসের সেরা ড্রিবলার গ্যারিঞ্চা (১৯৬২) এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে “বিশ্বকাপ, গোল্ডেন বল + বুট ও ব্যালন” জেতা ফুটবলার পাওলো রসি (১৯৮২)।

ফিরে আসা যাক কেম্পেস গাথায়। সবাই লুইস সুয়ারেজের নাম জানি দুটো কারণে। অবশ্যই সে অতুলনীয় একজন ফরওয়ার্ড। এছাড়া কামড় বিশারদ এবং ঘানা ম্যাচে “সেকেন্ড হ্যান্ড অফ গড” কান্ড করে লাল কার্ড।

এই ঘটনা কিন্তু সুয়ারেজের ৩২ বছর আগেই কেম্পেস করেছিলেন। ‘৭৮ সালে পোল্যান্ডের বিপক্ষে নকআউট সেকেন্ড রাউন্ডের খেলা। ৬৫ মিনিটে ১-১ গোলে সমতা অবস্থায়ে কিপারের মত ডাইভ দিয়ে পোল্যান্ড কে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত করেন কেম্পেস!! তখন এই অপরাধের জন্য লাল কার্ডের আইন না থাকায়ে হলুদ কার্ডের উপর দিয়েই সে যাত্রা রক্ষা পেয়ে যান।

আয়রনি হচ্ছে, পোলিশ ইতিহাসের সেরা হিসেবে খ্যাত বনিয়েক পেনাল্টি মিস করেন। পরে বনিয়েক কেম্পেসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ইতিহাসে লেখা থাকবে ম্যাচটা ড্র, কিন্তু আসল জয়ী দলের নাম পোল্যান্ড!” কেম্পেসের উত্তর ছিল, “ঠিক আছে। আরেকটা দিয়ে দিচ্ছি। পারলে ঠ্যাকাও।” কি মারাত্মক কনফিডেন্স!!

আরো আয়রনি হচ্ছে, ৭১ মিনিটে কেম্পেসের অসাধারণ এক গোলে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে!.একই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন, বেস্ট প্লেয়ার, সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬), ফার্স্ট হ্যান্ড অফ গড। এত কান্ডকারখানা তো মারাদোনার-ও নেই।