East Bengal: পুরুলিয়ার মাঠ থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বিজয় মুর্মু

প্রীতম সাঁতরা: নতুন মরসুমের জন্য দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত আগেই জানিয়েছিলেন, একাধিক ঘরোয়া ফুটবলারের দিকে নজর রয়েছে…

Vijay Murmu

প্রীতম সাঁতরা: নতুন মরসুমের জন্য দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত আগেই জানিয়েছিলেন, একাধিক ঘরোয়া ফুটবলারের দিকে নজর রয়েছে ক্লাবের। সেই মতো ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ইতিমধ্যে একাধিক ফুটবলারকে নিশ্চিত করেছে। যার মধ্যে অন্যতম বিজয় মুর্মু।

   

বিজয় মুর্মুর উত্থান বেশ চমকপ্রদ। পুরুলিয়ার গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন কলকাতার অন্যতম প্রধান ক্লাবে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর লাগোয়া নামোবাথান গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন বিজয় মুর্মু। গ্রামের আর পাঁচজনের সঙ্গে ফুটবল খেলে বেড়ে ওঠা। ক্রমে এই ফুটবল মাঠ থেকে শুরু ক্যারিয়ার গ্রাফের উত্থান।

পুরুলিয়ার পাথুরে মাটি, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াতে ফলে ফসল। বিজয় মুর্মুর মতো ছেলেরা উঠে আসেন এভাবেই। অভাব-অনটন, বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে নিজেদেরকে তুলে ধরেছেন আলাদাভাবে। ইস্টবেঙ্গলের লাল হলুদ জার্সি পরে মাঠে নেমে খেই হারিয়েছেন অনেক নামকরা ফুটবলাররা। চাপ কী বিজয় সেটা ভালো করেই জানেন।

পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে অর্থ-কষ্ট আজকের ব্যাপারে নয়। আর্থিক অনটনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বড় রয়েছেন বিজয় মুর্মু। ফুটবল তাঁর কাছে শুধু খেলা নয়, বেঁচে থাকার রসদ। ফুটবল খেলে যে টাকা হাতে পান সেটাই লাগে বাড়ির কাজে। ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন বিজয়। তারও আগে আগলে রাখতে হয় পরিবারকে। বাবা বিনোদ মুর্মু শ্রমিকের কাজ করে, মা বৈশাখী মুর্মু গৃহবধূ। সংসার চালানোর জন্য ছেলের দিকেও তাকিয়ে হয় মা-কে।
স্থানীয় এক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার সময় কোচ ভার্গব গুহঠাকুরতার নজর কেড়েছিলেন বিজয় মুর্মু। সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে যান হাওড়া ইউনিয়নে। তারপর আর ফিরে তালাতে হয়নি বিজয়কে।

পরে তাঁর খেলা দেখে অনুপ নাগ আর প্রীতম কোটাল তাঁকে নিয়ে যান নিজেদের অ্যাকাডেমিতে। এর পরে সালকিয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবে। পরে ভবানীপুর এফসির হয়ে খেলেছিলেন দ্বিতীয় ডিভিশনের আই লিগ। সন্তোষ ট্রফিতে খেলেছেন বাংলার হয়ে। দল হিসেবে বাংলার পারফর্ম্যান্স আশানুরূপ না হলেও বিজয় ছিলেন বাংলার টপ গোলস্কোরার।