Srijan Bhattachariya: কীভাবে সংসার চলে সৃজনের, নিজেই জানালেন বামেদের যুবনেতা

যাদবপুরের বাম মনোনীত প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattachariya) টিকিট পাওয়ার পরই ভোটের আসরে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছেন সায়নী ঘোষকে। তাঁকে টক্কর দিতে…

Srijan Bhattacharya

যাদবপুরের বাম মনোনীত প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattachariya) টিকিট পাওয়ার পরই ভোটের আসরে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছেন সায়নী ঘোষকে। তাঁকে টক্কর দিতে মরিয়া সৃজন। টিকিট পাওয়ার পরই প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সৃজন। নিজের নির্বাচনী এলাকায় বামেদের মাটি ফিরে পেতে মরিয়া তিনি। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। তাঁদের সমস্যার কথা শুনছেন।

কিছুদিন আগেই প্রচার সারার সময় যাদবপুর এলাকায় দেখা হয়ে যায় দুই প্রার্থীর। তাদের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ও হয়। যা থেকে খুশি হয়েছিলেন অনেকে। ওয়াকিবহল মহলের মতে রাজনীতিতে এমন সৌজন্য এখন বিরল। দুই প্রার্থীর মধ্যে রাস্তায় সামান্য কথা হয়। তারপর তারা দুই দিকে চলে যান। দুজনেই ভোতের ফল ভালো হওয়ার জন্য দুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তবে সৃজনের কথায় এবার মেতে উঠেছে সমাজ মাধ্যম। কেননা তার সংসার চলে কীভাবে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান পার্টির ফুলটাইম হোল্ডার হিসেবে কাজ করেন। সৃজনের কথায়, ‘আমি ৬৩০০ টাকা পাই। আমরা যারা এই কাজটা বেছে নিয়েছি আমরা জানি এটা তো সেই অর্থে মায়নে নয়। এটা পারিশ্রমিক নয়। সেই তুলনায় আমি অনেক ভাগ্যবান, আমার বাবা সরকারি চিকিৎসক। আমার স্ত্রী গবেষণা করেন। ফলত আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন আমার বাবা বা স্ত্রী কী করেন তাহলে আমি বলি ওঁরা আমাকে পোষেন।’

সৃজন আরও বলেন, ‘এটাও ঠিক যে, একটা বড় অংশের সিপিএমের মানুষ তারা আমার মতো স্বচ্ছল আশপাশটা পাননি। ওই যে পাঁচ হাজার, চার হাজার, ছয় হাজার টাকা পান– ওইটা নিয়ে তারা গ্রাসাচ্ছাদনটুকু জোটানোর কঠিন রাস্তা বেছে নিয়েছেন। লোভের রাস্তায় যাব না দুর্নীতির রাস্তায় যাব না এই ধরনের কমরেডদের যখন গ্রামে দেখি, কলকাতা শহরে দেখি বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগায়।’