Mohun Bagan Day: লাল-হলুদ উত্তরীয় প্রসঙ্গে এবার বিষ্ফোরক দেবাশীষ দত্ত

কলকাতা ময়দানের অন্যতম এক প্রধান হল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তবে আদি মোহনবাগান হোক কিংবা বর্তমানের মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস, একটি মানুষের নাম উঠে আসে সবার আগে।

Debasish Dutta

কলকাতা ময়দানের অন্যতম এক প্রধান হল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তবে আদি মোহনবাগান হোক কিংবা বর্তমানের মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস, একটি মানুষের নাম উঠে আসে সবার আগে। তিনি ক্লাব সচিব দেবাশীষ দত্ত। ক্লাবের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হোক কিংবা ডার্বির আগে পড়শি ক্লাবকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা, সবার আগে এগিয়ে যান এই মানুষটি।

একটা সময় দলের নামের সামনে থেকে ‘এটিকে’ রিমুভ করার প্রসঙ্গে ও যথেষ্ট সক্রিয় থেকেছেন এই মানুষটি। এ বারের মোহনবাগান দিবসে ও সমস্ত অনুষ্ঠানের প্রথম সারিতে দেখা মিলেছে তার। কিন্তু গত ২৯ জুলাই মোহনবাগানের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের থেকে লাল-হলুদ উত্তরীয় সহ ফুলের তোড়া ও ক্লাবের মেমেন্টো নেওয়া নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক দেখা দিয়েছিল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে।

এই নিয়েই কাল অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ লগ্নে এসে মুখ খুললেন বাগান সচিব। তিনি বলেন, ‘আগের দিন আমাদের ক্লাবের অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সহ তাদের সহ সচিব এসেছিলেন। তারপর তাদের তরফ থেকে আমাকে লাল-হলুদ উত্তরীয় সহ, ফুল ও শতবর্ষের প্রতীক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, দেবাশীষ দত্ত কিভাবে লাল-হলুদ উত্তরীয় পড়তে পারেন? তবে আমি মনে করি মোহনবাগান দলের সৌজন্যতা ও সৃষ্টিশীলতা গোটা ভারতবর্ষের বুকে একটা উদাহরণ। আমরা কখনো কারুর সঙ্গে অসহযোগিতা কিংবা অসৌজন্যমূলক কিছু করতে পারিনা। আমাকে লাল-হলুদ পতাকা পড়িয়ে, তারা গৌরবান্বিত হয়েছে। মোহনবাগানকে পড়িয়ে তারা মনে করেছে যে আমরা একজন বড় কাউকে পড়ালাম। এতেই আমাদের ক্লাবের সম্মান বাড়ল। যারফলে, শেষ অব্দি মোহনবাগানের জয় হলো।’

তবে সেখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল একে অপরের পরিপূরক। আমাদের মতো ওরা ও যথেষ্ট বড় একটা ফুটবল প্রতিষ্ঠান। তবে এখন একটু খারাপ সময় যাচ্ছে ওদের, আট, নয়বার হারছে। সেগুলো আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ভালো হয়ে যাবে বলেই আমি মনে করি। উল্লেখ্য, আগামী ১২ আগস্ট ডুরান্ড কাপের মধ্যে দিয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এখন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।