Kapil Dev Birthday: জন্মদিনে ইস্টবেঙ্গল স্তুতি হরিয়ানা হ্যারিকেনের, আপ্লুত লাল-হলুদ

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলে গিয়েছেন কপিল দেব (Kapil Dev)। ক্রিকেটের পাশাপাশি দলের ফুটবলের জার্সিও জড়িয়েছেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিনে তিনি টুইট করলেন ইস্টবেঙ্গল দলের হয়ে।

East Bengal, Tribute ,Kapil Dev, Birthday

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলে গিয়েছেন কপিল দেব (Kapil Dev)। ক্রিকেটের পাশাপাশি দলের ফুটবলের জার্সিও জড়িয়েছেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিনে তিনি টুইট করলেন ইস্টবেঙ্গল দলের হয়ে। লিখলেন যে, ‘কলকাতার ভক্তরা তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। ওঁরা খুবই আবেগপ্রবণ। তবে যে খেলাকে ভালোবাসে তাকে একটু আবেগপ্রবণ হতেই হয়। আমার কলকাতায় আসতে সবসময়ই ভালোলাগে। আমি ইস্টবেঙ্গল দলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পেরে খুবই গর্বিত”

ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথম ভারতীয় হিসেবে করেছিলেন সেঞ্চুরি সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ৯০৩১ রান। শিকার ৬৮৭ উইকেট। নিজের ঘরোয়া ক্রিকেট কেরিয়ারে একবারই রঞ্জি ট্রফি জিতেছেন কপিল দেব। ১৯৯১ সালে হরিয়ানার হয়ে।

কপিল দেব ক্রিকেট ছাড়ার পর গলফ খেলা শুরু করেন। লরেন্স ফাউন্ডেশনের একমাত্র এশিয়ান প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেন তিনি। ২০০২ সালে উইজডেনের বিচারে শতকের সেরা ভারতীয় ক্রিকেটার মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে হরিয়ানার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল কপিল দেবের। সেই ম্যাচেই ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় টেস্ট দলে অভিষেক হয় তাঁর। ১৯৮২ সালের শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথমবার ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব পান তিনি। আর তারপরেই ঐতিহাসিক ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ। গোটা টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ৩০৩ রান করার পাশাপাশি ১২টি উইকেটও নিয়েছিলেন কপিল পাজি। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন অবিস্মরণীয় ১৭৫ রানের ইনিংস।

ভারতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ও ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ দেওয়া অধিনায়ক কপিল দেব নিখাঞ্জ। ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই অলরাউন্ডারের ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ১৬ অক্টোবর ১৯৭৮-এ। ফয়জলাবাদে ১৯ বছরের কপিল প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিলেন মাত্র ৮ রান, পেয়েছিলেন ১টিই উইকেট।

কিন্তু তার পরের ১৬ বছরে তিনি ভারতের হয়ে ১৩১টি টেস্ট খেলেন। ২৯.৬৪ গড়ে ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। ইনিংসে ৫ উইকেট ২৩বার। সেই সঙ্গে ৩১.০৫ গড়ে করেন ৫২৪৮ রান। শতরান ৮টি। একদিনের ক্রিকেটেও সমান সাফল্য পেয়েছিলেন। ২২৫ ম্যাচে ৩৭৮৩ রান করেন এবং ২৫৩টি উইকেট দখল করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে কপিল দেব (৪৩৪) নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১)-কে টপকে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্টে একই সঙ্গে ৫০০০-এর বেশি টেস্ট রান ও ৪০০-এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন। এই বিরলতম ডাবল-এর রেকর্ডই অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর মাহাত্ম্য বোঝানোর জন্য যথেষ্ঠ।

এখনও তাঁর ঝুলিতে সবচেয়ে কম বয়সী বোলার হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট (২১ বছর, ২৫ দিন), ২০০ উইকেট (২৪ বছর) ও ৩০০ উইকেট (২৭ বছর, ২ দিন) শিকার করার রেকর্ড রয়েছে।

১৯৮৩ সালে আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে কপিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। যা তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিং। তিনিই একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে এক ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের অধিকারী। তবে সেই ম্যাচ অবশ্য ভারত ১৩৮ রানে হেরেছিল। তাই হারা ম্যাচে এক ইনিংসে সেরা বোলিং-এর রেকর্ডও তাঁর দখলে রয়েছে।

১৯৯৪ সালে কেরিয়ার শেষ করার সময়, তিনিই ছিলেন একদিনের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী (২৫৩)। বস্তুত, একদিনের ক্রিকেটে তিনিই প্রথম ২০০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছেছিলেন।

এই সব রেকর্ড বাদ দিলেও, শুধুমাত্র, ১৯৮৩ সালের লর্ডস-এর ব্যালকনি-তে বিশ্বকাপ হাতে হাসিমুখে তাঁর ছবিটির জন্যই চিরকাল ভারতীয় সমর্থদের মনের এক বিশেষ স্থানে থেকে যাবেন কপিল দেব। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে অবদানের জন্য পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরষ্কার পেয়েছিলেন তিনি।