কবে আনোয়ার আলি (Anwar Ali Controversy) বিতর্কের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে? কবে জানতে পারা যাবে পঞ্জাবের এই ফুটবলার আগামী মরশুমে কোন দলের হয়ে খেলবেন, মোহনবাগান না ইস্টবেঙ্গল? বিষয়টা নিয়ে এখনও দড়ি টানাটানি অব্যাহত। ইতিমধ্যে শনিবার (১০ অগস্ট) আনোয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শোনা যাচ্ছে যে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি সেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারেন। বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
একটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করতে পারে। শোনা যাচ্ছে, আনোয়ারের শুনানি ২ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হতে পারে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু করা হয়নি।
অবশেষে জানা গেল কবে থেকে শুরু হচ্ছে এবারের ISL
এবারের মরশুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই আনোয়ার আলি ইস্যু নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি বাতিল করেছিলেন আনোয়ার। প্রথমে তিনি দিল্লি এফসি’তে ফিরে যান। আর সেখান থেকে তিনি ফের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সই করেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মোহনবাগান অভিযোগ দায়ের করে। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সঙ্গে আনোয়ার আলি ও মোহনবাগানের একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আনোয়ার আলি একেবারে অনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোহনবাগানের লোন চুক্তি ছিন্ন করেছেন।
চলতি মরসুম শুরুর আগে থেকেই আনোয়ারের দলবদল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি বাতিল করে আনোয়ার দিল্লি এফসিতে ফিরে গিয়ে পরে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। এই বিষয়ে অভিযোগ করে মোহনবাগান। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল আনোয়ার ও মোহনবাগানের। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হয়, পঞ্জাবের ফুটবলার যে প্রক্রিয়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি ভেঙেছেন, তা অনৈতিক।
Mohun Bagan SG: ডার্বিতে খেলতে পারবেন জেমি? রইল আপডেট
এই নিয়ম ভাঙার কারণে দিল্লি এফসি’র পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারে। নতুন ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে আসতে পারে একাধিক নিষেধাজ্ঞাও। ইতিমধ্যে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে দুটো ক্লাবের কাছেই নিজেদের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে কিছুটা হলেও শিথিল মনোভাব দেখিয়েছে মোহনবাগান। তারা জানিয়েছে, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেলে আনোয়ারকে ছেড়ে দিতে কোনও অসুবিধা নেই। ইতিমধ্যে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি।