শুধু মেসিই ফেরেনি কাপ নিয়ে দেশে, জিতেছে এরাও

শুধু মেসি (Lionel messi), মার্টিনেজ, ডিমারিয়া,আলভারেজ,সেলোনি এরা কাপ জেতেনি ওইদিন জিতেছে কাগজের মন্ড করে খেলা,প্লাস্টিক বস্তা কেটে বানানো আফগানিস্তানের ছোট ছেলের দশ নম্বর জার্সিটা, মোর্তজা…

Along with Lionel messi they also wins world cup

শুধু মেসি (Lionel messi), মার্টিনেজ, ডিমারিয়া,আলভারেজ,সেলোনি এরা কাপ জেতেনি ওইদিন জিতেছে কাগজের মন্ড করে খেলা,প্লাস্টিক বস্তা কেটে বানানো আফগানিস্তানের ছোট ছেলের দশ নম্বর জার্সিটা, মোর্তজা জিতে যায়। জিতেছে চেন্নাইয়ের সংগীতা সেকার দুবেলা যার পেট ভোরে খাওয়া বিলাসিতা সেও ফুটবল ভালোবাসে। সেও ওই রাতে জিতে যায়।

ওইদিন রাতে জিতেছে “বাগদাদ মেসি” সিনেমার এগারো জন। যারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকে নিজেদের হাত, পা হারিয়েও দশ নম্বর জার্সিটা পিঠে চাপিয়ে দিন গুনছিলো,আজকে তারাই জিতল। জিতলো এক পায়ে লড়াই করা আলী আল জাইদউই।

হুইল চিয়ারে বোসে থাকা যুবক থেকে বৃদ্ধ সবাই জিতল মেসির সঙ্গে। হাজারও প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া মেরুদন্ড একবার নড়ে ওঠে, মিরাক্কেল হল নাকি! জিতল ফুটপাতের হীরা, ট্রেনে লজেন্স বিক্কিরি করা ছেলেটা, রাজমিস্ত্রি,কাগজওয়ালা,রাস্তায় ময়লা পরিষ্কার করা ছেলেটা।
জিতল সুন্দরবন থেকে সান্তিয়াগোর একটা আবেগ।

হয়তো খেলার মাঠ সবার আলাদা আলাদা কিন্তু জেতার স্বপ্নগুলো একই। জীবন যুদ্ধের মাঠে পজিশন চেঞ্জ করে কঠিন সমস্যাগুলোকে ড্রিবলিং করে কাটিয়ে একটা শট লক্ষ্যপূরণের গন্তব্য সেই বিপক্ষের গোলবক্স। স্বপ্নপূরন হয় অনেকের।

কোটি কোটি ইচ্ছের জয় হয়েছে। তাই শুধু মেসি জেতেনি, জিতেছে একটা প্রজন্ম।এইভাবে মারাদোনা থেকে মেসিরা প্রতিটা প্রজন্মকে জিতিয়ে আসছেন। এগুলো রূপকথার উপন্যাসের মতো। তবে এই উপন্যাসগুলো কলম বা হাতের পরিবর্তে লেখা হয় ঈশ্বরের পা ও ফুটবল দিয়ে।