Cuttlefish memory: মানুষের চেয়ে ঢের বেশি স্মৃতিশক্তি এই প্রাণীর

মানুষের চেয়ে বেশি স্মৃতিশক্তি রয়েছে ক্যাটল ফিসের (Cuttlefish), জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাণীটির স্মৃতিশক্তি নিয়ে বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করছেন।এতে অংশ নেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। গবেষণার জন্য তারা…

Cuttlefish Memory

মানুষের চেয়ে বেশি স্মৃতিশক্তি রয়েছে ক্যাটল ফিসের (Cuttlefish), জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাণীটির স্মৃতিশক্তি নিয়ে বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করছেন।এতে অংশ নেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। গবেষণার জন্য তারা এই ক্যাটল ফিসের ২৪ টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেন, এর মধ্যে ১২ টি ছিল প্রাপ্ত বয়স্ক, ও ১২ টি অপ্রাপ্তবয়স্ক।

এগুলির সাথে ৯০ বছর বয়সী মানুষের স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার জন্য সাদা এবং কালো কাপড় দিয়ে ‌চিহ্নিত দুটি স্থানে রাখা হয় তাদের পছন্দের খাবার ও কম পছন্দের খাবার। চার সপ্তাহ সময় ধরে করা এই পরীক্ষায় প্রায় তিন ঘন্টা পর পর খাবার ও খাবারের স্থান পরিবর্তন করে দেওয়া হত। দেখা গেছে, স্থান ও চিহ্ন পরিবর্তন করলেও সবচেয়ে পছন্দের খাবারটি বেছে নিতে অসুবিধা হয়নি প্রাণীগুলোর। বিশেষ করে বয়স্ক প্রাণীরা এক্ষেত্রে বেশি সফল।

   

গবেষকরা জানান বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়, তখন মানুষ জীবনের বেশিরভাগ স্মৃতি ভুলে যায়, তার মনে রাখতে পারেন না। কিন্ত ক্যাটল ফিস তার ব্যতীত। তাদের বয়সের সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কমেনা বরং বেড়ে যায়। ক্যাটল ফিসের জীবনের কোনো ঘটনার স্মৃতিক্ষয় হয়না, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে পর্যন্ত মনে রাখতে পারে বৈচিত্র্যময় এই প্রাণীগুলো। এরা কবে কোথায় কী খেয়েছে, সবই মনে রাখতে পারে। তাদের দেহে এখন কোন খাবার প্রয়োজন বুঝতে পারে এমনকি মানুষের মতো আত্ম নিয়ন্ত্রণ চর্চাও করে থাকে। কিছু শিখতেও কম সময় নেয় ক্যাটল ফিস।

বিচিত্র এই প্রাণীর নামের সাথে ফিস যোগ করা থাকলেও এটি আসলে
কোনো ফিস নয়। অন্যান্য মাছের চেয়ে বেশ কিছু ভিন্নতা রয়েছে এদের। এই প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সাথে মানুষের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এদের শরীরের আকারের তুলনায় বড়ো মস্তিস্ক রয়েছে। এর আটটি শুড় থাকে, কোনো শুড় একবার কেটে গেলে তা আবার নতুন করে গজায়। এদের শরীরের আকৃতি লম্বা ও চোখগুলো বেশ বড়ো। নীল, সবুজ রঙের রক্তের এই প্রাণীর তিনটি হৃদয় থাকে। প্রাণীটির দেহ অত্যন্ত নরম প্রকৃতির। এদের দেহে একধরনের শক্তিশালী ছিদ্র দিয়ে শিকার করে থাকে এরা। সাধারণত ছোটো আকারের ক্যাটল ফিস, স্কুইড সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ খেয়ে থাকে। ক্যাটল ফিসের আয় খুব কম। অধিকাংশ দুবছর পর্যন্ত বাঁচে।

অক্টোপাসের মতো দেহের রঙ পরিবর্তন করতে পারে এই প্রাণী। এদের শরীরে ক্রোমোটোফর নামে ছোটো পিগমেন্ট কোশ রয়েছে যা প্রাণীটিকে যেকোনো সময় তার রঙ ও প্যার্টান পরিবর্তন করতে পারে। ক্যাটল ফিস শুধুমাত্র তাদের জীবনের শেষ বয়সে এসে প্রজনন করে। তারা কার সাথে কতদিন আগে মিলিত হয়েছিল তাও মনে রাখতে পারে। আরও অদ্ভুত ব্যাপার হল একই সঙ্গীর কাছে তারা বারবার ফিরে যায়না। প্রজননে নতুন সঙ্গী খুঁজে নেয়। গবেষকরা মনে করেন এটি তাদের জিনকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে প্রাণীটির মধ্যে বৈচিত্রতা সৃষ্টি হয়।