Sergio Lobera: মোহনবাগান ম্যাচ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ওডিশা এফসি কোচের

গতকাল, মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে ওডিশা এফসির বিপক্ষে ৪-০ গোলে সহজ জয় তুলে নিয়েছে হুয়ান ফেরেন্দোর মোহনবাগান। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলে।…

Sergio Lobera

গতকাল, মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে ওডিশা এফসির বিপক্ষে ৪-০ গোলে সহজ জয় তুলে নিয়েছে হুয়ান ফেরেন্দোর মোহনবাগান। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলে। দলের হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন অজি তারকা দিমিত্রি পেট্রতোসের। পাশাপাশি একটি করে গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ ও লিস্টন কোলাসো। টুর্নামেন্টের শুরুতে এত বড় ব্যবধানে জয় আগামীদিনে দলকে যে বাড়তি অক্সিজেন দেবে তা কিন্তু বলাই চলে।

এছাড়াও আর কয়েকদিন বাদেই শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দশম মরশুম। সেখানে ও যে দল বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে তা বলাই চলে। তবে গতকালের ম্যাচ নিয়ে খুব একটা খুশি নন ওডিশা কোচ সার্জিও লোবেরা। বিশেষ করে রেফারির কার্ড সিদ্ধান্তে যেন একেবারেই খুশি হতে পারেননি তিনি।

   

আসলে গতকাল ম্যাচের প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকেই ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করে মোহনবাগান। ঘনঘন আক্রমণের দরুন একেবারে টালমাটাল পরিস্থিতি দেখা দিতে শুরু করে ওডিশা শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে একটা লাল কার্ড যেন বদলে দেয় সমস্ত কিছু। কার্ড দেখতে হয় ওডিশা দলের তারকা ডিফেন্ডার মুর্তাজা ফলকে। যারফলে দশজন হয়ে যায় ওডিশা। প্রথমার্ধে কামিন্স-সাদিকুরা গোলের জন্য ছটফট করলেও তা মেলেনি।

তবে ফল মাঠের বাইরে যেতেই বদলে যায় সমস্ত কিছু। আসলে তার আগেই বাগানের আরেক ফুটবলার হুগো বুমোসকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মুর্তাজা ফল। তারপর দ্বিতীয় কার্ড আসতেই বিতর্ক দেখা দেয় ওডিশা শিবিরে। এই নিয়ে পরবর্তীতে যথেষ্ট আপত্তি তোলেন ওডিশা কোচ সার্জিও লোবেরা।

তিনি বলেন, “এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে রেফারির কাজ যথেষ্ট কঠিন হয়ে যায়। তবে আমাদের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” এক কথায় বলতে গেলে রেফারির নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন এই স্প্যানিশ কোচ। তবে নিজেদের ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে ও যথেষ্ট আশাবাদী থাকতে দেখা যায় তাকে। তিনি আরও বলেন, মোহনবাগান যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তবে আমরাও যথেষ্ট লড়াই দিয়েছি। একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। প্রথমার্ধের শেষের দিকে দশজন হয়ে গিয়ে ও আমাদের ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে তার জন্য আমি যথেষ্ট খুশি।”