হাঁটতে হাঁটতে হীরে পেলেন কৃষক, দাম শুনেই ভিরমি খেলেন

সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন এক কৃষক। এসময় ৪.৩৮ ক্যারেটের একটি হীরে খুঁজে পান তিনি। এতে রাতারাতি লাখপতি হয়ে গেছেন ওই কৃষক।এ ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের পান্না…

সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন এক কৃষক। এসময় ৪.৩৮ ক্যারেটের একটি হীরে খুঁজে পান তিনি। এতে রাতারাতি লাখপতি হয়ে গেছেন ওই কৃষক।এ ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের পান্না জেলায়। রাতারাতি লাখপতি হয়ে যাওয়া ওই কৃষকের নাম ইন্দ্রজিৎ সরকার। তিনি সকালে হাঁটতে বের হন।তখন জ্বল জ্বল করতে থাকা একটি পাথর খুঁজে পান ইন্দ্রজিৎ।

এরপর সেই পাথরটি ডায়মন্ড অফিসে নিয়ে যান তিনি। হীরেটির দাম ২০ লাখ টাকা। ইন্দ্রজিৎ বলেন, একটি হীরে খনির পাশে ওই হীরেটি খুঁজে পান তিনি।তিনি বলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটি তুলে নেই এবং বুঝতে পারি সেটি হীরে। এরপর সেটি ওজন করে দেখা যায়, হীরেটি ৪.৩৮ ক্যারেটের। আর সেটির দাম প্রায় ২০ লাখ টাকা।

ওই এলাকার বহু মানুষ হীরে পাওয়ার আশায় অগভীর খনি ইজারা নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কখনও হীরে খুঁজে পাননি। ইন্দ্রজিতের খুঁজে পাওয়া হীরেটি পরে নিলামে তোলা হবে। কর কেটে নেওয়ার পর টাকা পাবেন তিনি।

ইন্দ্রজিতের মতো ঘটনা গত বছরও হয়েছিল সেখানকার এক নারী রান্না করার জন্য বনের কাঠ কুড়াতে গিয়ে একটি হীরে খুঁজে পায়। ৬ সন্তানের মা বিন্দাবাই নামে ওই মহিলা কাঠের উননে রান্না করার জন্য কাট কুড়াতে গিয়েছিলেন পান্নার খনির পাশের জঙ্গলে। সেখানে পাওয়া হীরের টুকরোটির ৪.৯ ক্যারেটের ছিল। নিলামে ওঠার পর যার দাম হয় ২০ লক্ষ টাকা। দামী এই হীরাটি ছিল একেবারেই প্রাকৃতিক। কোনো পালিশ করাও ছিল না। ২০২১ সালে এই পান্না জেলা থেকে মাটি খুঁড়ে ৪০ লাখ টাকার হীরে পেয়েছিলেন ৪ হীরে খনির শ্রমিক।

বর্তমানে হীরে পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান ধাতু। এটি মূলত কার্বনের কঠিন রূপ যা অত্যাধিক তাপ চাপ এবং একটি স্থানে দীর্ঘদিন থাকার ফলে তৈরি হয়। বেশিরভাগই হীরে পৃথিবী থেকে ১০০ মাইল গভীরে ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রচন্ড চাপের কার্বন পরমাণু থেকে হীরেয় রূপান্তরিত হয়। প্রকৃতি থেকে পাওয়া একটি হীরের আকার বর্ণ স্বচ্ছতায় রয়েছে বিভিন্নতা তাই একটি নির্দিষ্ট দামের গন্ডিতে হীরেকে ফেলা যায় না।