যে সংখ্যাগুরু মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশে বোরখা পরা নিষিদ্ধ

বোরখা নিয়ে নানা সময়ে নানা বিতর্ক দেখা যায়। কিন্তু কে কী পড়বে কে কী খাবে? এটা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তবে পৃথিবীর এমন কিছু উন্নত…

Burqa যে সংখ্যাগুরু মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশে বোরখা পরা নিষিদ্ধ

বোরখা নিয়ে নানা সময়ে নানা বিতর্ক দেখা যায়। কিন্তু কে কী পড়বে কে কী খাবে? এটা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তবে পৃথিবীর এমন কিছু উন্নত দেশ আছে যেখানে বিকিনি পরার উপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও বোরখা পরার উপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আজ আমরা জানবো সেই সমস্ত দেশ সম্পর্কে যেখানে বোরখা পরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ফ্রান্স: ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্স প্রথম আইন করে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করে. ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লাখ মুসলমান বসবাস করলেও ২০১১ সালের ১১ই এপ্রিল দেশটিতে এই আইন কার্যকর হয়। এমনকি বোরখা বা নিকাব পরলে জরিমানা আদায় করা হবে বলে আইনে জানানো হয়েছে।

   

জার্মানি: জার্মানির রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা মিলে দেশটিতে বোরখা নিষিদ্ধ করে দেশটিতে একাধিক স্কুল সরকারি অফিস আদালত এবং গাড়ি চালানোর সময় বোরখা বা সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হয়।

সুইজারল্যান্ড: ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ইতালিওভাষীদের এলাকা ইসিনোতে বোরখা নিষিদ্ধের উপর ভোট হয়। সেখানে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে আসে ৬৫% ভোট। এরপরে দেশটি ২৬ টি শহরে বোরখান নিষিদ্ধ হয়। শহরগুলিতে জনসম্মুখে কেউ বোরখা পরলে 9200 ইউরো জরিমানা দিতে হয়।

নেদারল্যান্ড: নেদারল্যান্ডে ২০১৫ সালে আইন করে বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়। বিশেষ করে জনসম্মুখে অর্থাৎ স্কুল হাসপাতাল অফিস আদালতে বোরখা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই আইনটি কার্যকর হয় 2019 সালের 1লা অগাস্ট থেকে।

অস্ট্রিয়া: দেশের ক্ষমতাসীন জোট সরকার বা শরিক দলগুলি প্রকাশ্যে পুরো মুখ ঢাকা নিকাব পরার বিষয়ে একমত হয়েছে। এছাড়া যারা সরকারি চাকরি করে তাদের মাথায় নিকাব বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক পরার মতো বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে সেদেশের জোট সরকার।

বেলজিয়াম: ২০১১ সালের জুলাই মাসের বেলজিয়ামের নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটিতে কোন নারী তার পুরো মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারবেনা বলে আইন করা আছে।

স্পেন: স্পেনে অবশ্য বোরখা নিষিদ্ধ নয়। শুধুমাত্র শুধুমাত্র দেশটির বার্সেলোনা শহর কর্তৃপক্ষ সেখানে বোরখা নিষিদ্ধ করেছে।

ইতালি: ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে বোরখা নিষিদ্ধ। সত্তরের দশকের সব ধরনের মুখ ঢাকা পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইতালি।

চাদ: ২০১৫ সালের জুন মাসে দুটি বোমা হামলার দুদিন পর নারীদের মুখ ঢাকা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি বোরখা কোথাও বিক্রি করা হচ্ছে, দেখা পেলেও তা সঙ্গে সঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।

তাজিকিস্তান: ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ তাজিকিস্তান বোরখা এবং হিজাব নিষিদ্ধ করে। এই আইন অমান্য করলে কোন সাজার ব্যবস্থা করা হয়নি তবে এখন জরিমানা জারি হতে পারে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা: ২০১৯ সালে একুশে এপ্রিল চার্চে প্রার্থনা চলাকালীন আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন অন্তত ২৫৩ জন। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে মুখ ঢাকা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করে সেই দেশের সরকার।

উগ্রবাদী আক্রমণ মোকাবিলা প্রধান কারণ হিসাবে দেখিয়ে বোরখা নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম রাষ্ট্র তিউনিসিয়া। অনেকেই মনে করেন জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি, নারী উন্নয়নে অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই হিজাব বা নিকাব।