পেট্রল-ডিজেলের বিকল্প শক্তির নতুন অস্ত্র এই পদার্থ

News Desk: বিশ্বজুড়ে বর্তমানে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে যেসব প্রযুক্তির কথা সম্প্রতি বেশি শোনা যাচ্ছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ফুয়েল সেল। ফুয়েল সেল হচ্ছে…

Hydrogen fule cell

News Desk: বিশ্বজুড়ে বর্তমানে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে যেসব প্রযুক্তির কথা সম্প্রতি বেশি শোনা যাচ্ছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ফুয়েল সেল। ফুয়েল সেল হচ্ছে এমন একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ যেখানে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় সরাসরি ডিসি কারেন্ট এবং বাই প্রোডাক্ট হিসেবে পানি এবং তাপ উৎপন্ন হয়।

হাইড্রোজেনকে জ্বালানিতে রূপান্তর করে পরিবহন খাতে ব্যবহার এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গত ২০১৫ সাল থেকে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরো কয়েকটি উন্নত দেশের সড়কে। ওইসব দেশে পেট্রোলিয়াম রিফুয়েলিং স্টেশনের জায়গা দখল করে নিচ্ছে হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং স্টেশন। তবে তা খুবই ধীর গতিতে সীমিত আকারে চলছে।

   

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রাজ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ২০০টি হাইড্রোজেন স্টেশন ও দুই লাখ ৫০ হাজার চার্জিং স্টেশন নির্মাণে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শহরে এখন সরকারিভাবে হাইড্রোজেন ফুয়েলিং স্টেশন আছে ৩৯টি। আরো ২৫টির নির্মাণকাজ চলছে। নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট কোস্টের রাজ্যগুলোও এগিয়ে আসছে। এর বাইরেও বিভিন্ন কোম্পানির বড় বড় ওয়্যারহাউজে এবং বিতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার হাইড্রোজেন চালিত মালামাল পরিবহনের ট্রাক (ফর্কলিফট) চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকগুলো শহরে এমন ব্লু গ্যাসচালিত বাস চালু আছে।

Hydrogen fule cell

কানাডার কুইবেক রাজ্যের রাজধানী মন্ট্রিলে হাইড্রোজেন ফুয়েলিং স্টেশন করার জন্য রাজ্যে সরকারের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে গাড়ি তৈরির কোম্পানি টয়োটা ও হোন্ডা। এমনকি তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবেও শিগগিরই এ ধরনের স্টেশন হতে যাচ্ছে। টয়োটাসহ বিশ্বের সব বড় বড় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ব্লু গ্যাসের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় বিস্তর টাকা ঢালছে। আর এসবই হচ্ছে বিশ্বের জলবায়ু তথা পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে। গত কয়েক বছর ধরে প্রচলিত গাড়িগুলোকে হাইব্রিড করা হচ্ছে জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে যাতে জ্বালানি কম পোড়ে।

<

p style=”text-align: justify;”>ফলে দূষণও কম হয়। এরপর ‘ইলেকট্রিক কার’ আসছে। দূষণ কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশ একটা করে টাইমফ্রেম ঘোষণা করছে। ওই সময়সীমার পর আর প্রচলিত তেলে চলা গাড়ি চলতে দেয়া হবে না। এই সুযোগ নিতে চায় এলন মাস্কের তেসলা ও অন্য গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার ব্লু গ্যাস সম্ভবত বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে। বিশ্বে গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে এখন জোর বিতর্ক চলছে এই নিয়ে যে, ব্যাটারি-চালিত ইলেকট্র্রিক কার নাকি, হাইড্রোজেন থেকে উৎপাদিত ব্লু গ্যাস বা ফুয়েল সেল চালিত গাড়ি বিশ্বের ভবিষ্যৎ বাজার দখল করবে।