মহাদুর্যোগেও লুচি-পায়েসে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন নয়াচরের একমাত্র স্কুলে

বিশেষ প্রতিবেদন: ঝড়ের এলার্ট ঘোষণা হয়েছে। মহাদুর্যোগের মাঝেই নয়াচরের একমাত্র স্কুলে পালিত হল বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। সৌজন্যে ‘পুরনো কলকাতার গল্প’ ফেসবুক গ্ৰুপের। স্কুল তো তাদেরই তৈরি।…

celebrate vidyasagar birthday

বিশেষ প্রতিবেদন: ঝড়ের এলার্ট ঘোষণা হয়েছে। মহাদুর্যোগের মাঝেই নয়াচরের একমাত্র স্কুলে পালিত হল বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। সৌজন্যে ‘পুরনো কলকাতার গল্প’ ফেসবুক গ্ৰুপের। স্কুল তো তাদেরই তৈরি। নাম যে স্কুলের নাম বর্ণপরিচয় সেখানে ঝড় আসলেও যে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন যে কোনও মূল্যেই পালিত হবে তা বলাই বাহুল্য। সেটা করেও দেখালেন ‘পুরনো কলকাতার গল্প’-র সদস্যরা। তা পালিত হল লুচি পায়েসের খাইয়ে।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ছবিতে মাল্যদান করে বর্ণপরিচয় থেকে কিছু অংশ পাঠ করানো হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বানী শেখানো হয়েছে বাচ্চাদের। আর জন্মদিনে খাওয়া দাওয়া না হলে হয় না। তাই লুচি তরকারি আর পায়েসের বিশেষ আয়োজন ছিল।

পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটির যাত্রা শুরু হয়েছিল বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই। ২০১৭-১৮ তে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সৃষ্টি করা পাথুরিয়াঘাটার মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন ছাত্র ছাত্রীর অভাবে প্রায় ভাঙ্গা পরতে বসেছিল। পুরনো কলকাতার গল্প গ্রুপ থেকে টানা ১ বছর নানারকম কাজের মাধ্যমে এবং সর্বশিক্ষা মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই স্কুলকে আবার নতুন করে ইংরেজি মিডিয়াম হিসাবে খোলা হয়।

শংকর ঘোষ লেনের মেট্রোপলিটন ইন্সটিউশন ( মেন) বিদ্যালয়টির ভবন অদ্ভুত ভাবে কলকাতা কর্পোরেশনের গ্রেডেড ঐতিহ্য লিস্টে ছিলো না। পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটির পক্ষ থেকে WBHC র কাছে বহুবার চিঠি লিখে এই ভবনকে ২০২০ সালে ঐতিহ্য তকমা প্রদান করা হয়। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পদধূলি ধন্য দেবসাহিত্যকুটিরের সর্ব প্রথম প্রেস ভবনটি প্রোমোটারি হয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু দেব সাহিত্য কুটিরের কর্ণধার রূপা মজুমদার এবং পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটির ৬ মাসের চেষ্টায় এই ভবনে WBHC দ্বারা ‘Blue Plaque’ বসানো হয়।

আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অতিমারির সময়েও পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটি পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচর দ্বীপে পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্মরণে প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সূচনা করে। নাম বর্ণপরিচয়। এই দ্বীপে সেটিই প্রথম স্কুল। প্রাকৃতিক এবং আর্থিক প্রতিকূলতায় এই স্কুল চালনা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। শীঘ্রই স্কুলের পাকা বাড়ির নির্মাণের কাজও শুরু হবে এই গ্ৰুপের চেষ্টায়।