Facebook group: সুই-ধাগার সৌজন্যে মহিলাদের স্বনির্ভর করছে ফেসবুক গ্রুপ

আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের জন্য সেলাই শেখার সেলাইঘর প্রকল্প চালু করেছে ফেসবুক গ্রুপ (Facebook group)। তাতেই উন্নতি হচ্ছে গ্রামের মেয়েদের। পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটির সামগ্রিক…

Facebook group

আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের জন্য সেলাই শেখার সেলাইঘর প্রকল্প চালু করেছে ফেসবুক গ্রুপ (Facebook group)। তাতেই উন্নতি হচ্ছে গ্রামের মেয়েদের।

পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটির সামগ্রিক সহায়তায় কাঁঠালবেরিয়ায় দুর্গাশক্তি সূচিশিল্প টেলারিং প্রকল্প’র অন্তর্গত বারুইপুরে গ্রামের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের জন্য সেলাই শেখার #সেলাইঘর প্রকল্প চালু করেছে, প্রকল্পটি বিগত দু’বছর ধরে চলছে (আগস্ট ২০২০)। ‘SINGER INDIA LTD’ অর্থাৎ যারা সেলাই মেশিন তৈরি করেন, সেই সংস্থা এবং পুরনো কলকাতার গল্প মিলিতভাবে এই প্রকল্প রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চালু করেছে। সাগরদ্বীপ যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বারুইপুরের কাঁঠালবেড়িয়া ও ধপধপি।

ছয় মাসের এই টেলারিং কোর্স সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রতিটি সেলাই শেখানোর কেন্দ্রে পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটি বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিয়ে কোথাও আটটি মেশিন, কোথাও বারোটির নতুন সেলাই মেশিন দিয়ে এই সেলাইঘর প্রকল্প চালু করেছে। যাঁরা ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁরাই পরীক্ষা দিচ্ছেন থিওরি ও প্রাকটিক্যাল সহ। এবার ওঁদের পরীক্ষার পর আমরা গড় নম্বর যা পেয়েছি (অর্থাৎ ওঁরা ছয় মাস অতিক্রান্ত হবার পর ৬ ঘন্টার পরীক্ষা দিয়ে যে ফল বা রেজাল্ট করেছে) তার গড় প্রায় ৭২ শতাংশ। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তী এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করার জন্য কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ‘SINGER’ অফিসে যেতেও প্রস্তুত। আমরা ওঁদেরকে সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও বিনামূল্যে করে দিতে পারছি। এক্ষেত্রে বারুইপুরের কাঁঠালবেরিয়া থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ খরচায় সপ্তাহে দুই দিন করে যাতয়াত করতে হবে।

এই সেলাইঘর প্রকল্পে আজকে সাগরদ্বীপে দুটো ইউনিট, বারুইপুরে দুটো ইউনিট মিলিয়ে প্রতি ৬ মাস অন্তর প্রায় ৮০ জন মহিলাকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে পুরনো কলকাতার গল্প ট্রেনিং’র ব্যবস্থা করে চলেছে এবং বিনামূল্যে এই কোর্স সম্পূর্ণ করার পর সার্টিফিকেটও প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। গ্রামের এই মহিলাদের বর্তমান অবস্থানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এঁরা অনেকেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই ছোটখাটো সেলাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। পুরনো কলকাতার গল্প সোসাইটি থেকেও বছরে ২টি প্রদর্শনীর জন্য নানা রকম সামগ্রী ওদেরকে দিয়েই তৈরি করাচ্ছে।

এক বছরে চারটি সেন্টার থেকে প্রদর্শনীর জন্য লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী তৈরি করিয়ে চলেছে এবং এর সিংহভাগই চলে ওঁদের পারিশ্রমিক অর্থাৎ মজুরির প্রদানের জন্য। ওঁরা আজ একটা বড় বা সম্মানজনক পারিশ্রমিক পাচ্ছন। পরিমাণ যথেষ্ট না হলেও, অন্তত নিজেদের হাতে কিছুটা টাকা রাখতে বা দেখতে পাচ্ছেন আজ ওঁরা। সামাজিক সম্মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি।

গ্রুপের লক্ষ্য, আগামীদিনে আরও এই রকম সেলাইঘর তৈরি করে গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা এবং তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করা।