Hrithik Roshan: হৃত্বিকের এই ভুলের জন্যই সুপারস্টারের মুকুট শাহরুখের মাথায়

বলিউডের মোস্ট হ্যান্ডসাম হাঙ্ক বা মহিলাদের থার্টথ্রব যাই বলুন না কেন, হৃত্বিকের রোশনের (Hrithik Roshan) নাম প্রথমে আসবে। যদিও খুব বেছে বেছে ছবিতে অভিনয় করেছেন…

Shah Rukh Khan-Hrithik Roshan

বলিউডের মোস্ট হ্যান্ডসাম হাঙ্ক বা মহিলাদের থার্টথ্রব যাই বলুন না কেন, হৃত্বিকের রোশনের (Hrithik Roshan) নাম প্রথমে আসবে। যদিও খুব বেছে বেছে ছবিতে অভিনয় করেছেন হৃত্বিক রোশন। তবে তাতেই মন জয় করেছেন দর্শকদের। সৌন্দর্যের বিচারে এক নম্বরে আছেন হৃত্বিক। তাকে বলিউডের গ্রিক গড-ও বলা হয়।

তবে এত কিছুর পরেও আক্ষেপ থেকেই যায় অভিনেতার। বেছে বেছে ছবি করার মানসিকতা থেকেই বলতে গেলে নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মেরেছেন হৃত্বিক। কারণ তার ছবি ‌প্রত্যাখ্যানে লাভবান হয়েছেন শাহরুখ খান, আমির খানরা। আজ সেই পাঁচটি ছবির তালিকা যার প্রস্তাব প্রথমে গিয়েছিল হৃত্বিক রোশনের কাছে।

লগান : আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘লগান’ ছবি বক্স অফিসের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটিতে পরাধীন ভারতে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দাদের ক্রিকেটের মাধ্যমে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছিল। এই ছবিতে ভুবনের চরিত্রের জন্য পরিচালকের আমির খানের আগে হৃত্বিক রোশনকেই পছন্দ ছিল। তবে হৃত্বিক ছবির চিত্রনাট্য পড়ে তেমন ভরসা পাননি। পরে ছবির সাফল্য দেখে তিনি আফসোস করেছেন।

স্বদেশ : আশুতোষ গোয়ারিকরের আরও একটি ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হৃত্বিক। তিনি বলেছিলেন চিত্রনাট্যের পড়ে আশুতোষের দৃষ্টিকোণ থেকে ধরতে পারেননি। তাই তার নিজেকে এই ছবির জন্য উপযুক্ত বলে মনে হয়নি। ‘স্বদেশ’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াতে শাহরুখের দ্বারস্থ হন পরিচালক। এই ছবি দেশের মাটিতে তেমন সাফল্য না পেলেও বিদেশে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করেছিল। ছবিটি শাহরুখের কেরিয়ারের জন্যও দারুণ লাভজনক হয়েছিল।

বাহুবলী : ‘বাহুবলী’ ছবিতে অভিনয় করার দৌলতে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। এই ছবিটি সারা বিশ্বজুড়ে দারুণ ব্যবসা করেছিল। তবে শোনা যায় এই ছবির জন্য এস এস রাজামৌলির প্রথম পছন্দ ছিলেন হৃত্বিক রোশন। অভিনেতা ‘যোধা আকবর’ এর পরে আর কোনও পিরিয়ড ড্রামা করতে চাননি। তাই তিনি প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন।

দিল চাহতা হ্যায় : আমির খান, সইফ আলি খান, অক্ষয় খান্না অভিনীত এই ছবিটিতে ফারহান আখতার পরিচালক হিসেবে হৃত্বিককে সমীর অথবা সিড, এই দুটি চরিত্রের মধ্যে যেকোনও একটি ছবি বেছে নিতে বলেছিলেন। তবে হৃত্বিক তাতে রাজি হননি। এই ছবিটি দর্শকদের থেকে দারুণ প্রশংসা পেয়েছিল। বক্স অফিসেও দারুণ সফল হয়েছিল। এমনকি সেইফ আলি খানের ডুবন্ত কেরিয়ারকেও দারুণ ভাবে গড়ে তুলেছিল ছবিটি।

রং দে বাসন্তী: আমির খানের এই ছবিতে সিদ্ধার্থের চরিত্রের জন্য পরিচালককে পছন্দ ছিল হৃত্বিক রোশনকে। তবে আমিরের তুলনায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না হৃত্বিক। চরিত্রটি লুফে নিয়েছিলেন কর্ণ সিংহানিয়া। দর্শকদের থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছিলেন তিনি এই চরিত্রের জন্য।