Biophobia: মনোরম প্রকৃতি দেখেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে, হু হু করে ছড়াচ্ছে রোগ

ফোবিয়া (Phobia) ভিন্ন ধরণের হয়। নানা রকম ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন বিষয়ে কারুর ভীতিটাকেই ফোবিয়া বলে। যারা সাপ এবং মাকড়শাকে ভয় পান তাদেরকে বাওফোবিয়ার অধীনে ধরা…

ফোবিয়া (Phobia) ভিন্ন ধরণের হয়। নানা রকম ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন বিষয়ে কারুর ভীতিটাকেই ফোবিয়া বলে। যারা সাপ এবং মাকড়শাকে ভয় পান তাদেরকে বাওফোবিয়ার অধীনে ধরা হয়। সাপ ফোবিয়াকে আলাদা করে অফিডিওফোবিয়া (ophidiophobia) বলা হয়। স্পাইডার ফোবিয়াকে অ্যার্যায়কনোফোবিয়া (arachnophobia) বলা হয়। দুই ফোবিয়া মিলিয়া বাওফোবিয়া(biophobia)।

আমেরিকান মনস্তাত্ত্বিক এসোসিয়েশন (American Psychological Association) অনুযায়ী, বাওফোবিয়া হল নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রতি ভয় এবং প্রকৃতির প্রতি সাধারণ ঘৃণা যা প্রাণী, ল্যান্ডস্কেপ এবং প্রাকৃতিক বিশ্বের অন্যান্য উপাদানগুলির সাথে প্রযুক্তি এবং অন্যান্য মানব শিল্পকর্ম, আগ্রহ এবং নির্মাণের সাথে সংযুক্ত হওয়ার তাগিদ তৈরি করে।

কেন এমন ভয় জন্মায়? এই আচরণের জন্য বিবর্তনীয় কারণ (evolutionary reasons) রয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষের অতীতে, প্রকৃতি বিপদের একটি সম্ভাব্য কারণ ছিল। জীবজগতের কিছু উপাদানের প্রতি ফোবিক প্রতিক্রিয়া বা ফোবিয়া প্রাথমিক মানুষের সংক্রামক রোগ বা বিপজ্জনক জীবের সাথে ক্ষতিকারক মুখোমুখি হওয়া এড়াতে সাহায্য করেছিল।

সে তো পূর্বপুরুষের অতীতের সময়ের কথা। এখন কেন রয়েছে ফোবিয়া? অনুমান করা হয় যে বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বন্যপ্রাণী থেকে দূরে শহরাঞ্চলে বাস করে। তাই আমরা আশা করতে পারি যে এই ধরণের প্রকোপ অনেকটা কমেছে। তবুও দেখা গিয়েছে যে অনেকেই এমন জীবের প্রতি জোরালো ফোবিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করতে থাকে যেগুলি আমাদের আশেপাশে থাকে না বা এমনকি যদি তারা কোনভাবেই বিপদজনক না হয়। এটি খুবই চিন্তার বিষয়। কারণ এই ফোবিয়া থেকে আসতে পারে অ্যাংজাইটি এবং প্রকৃতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ফেলা। প্রকৃতির যে উপকারিতা রয়েছে তা থেকে তারা বঞ্চিত হবে এর ফলে।

কী কী কারণে এই ফোবিয়া হয় তা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষকরা কারণ খুঁজে বার করার চেষ্টায় রয়েছেন। কিছু রিসার্চ জানাচ্ছে যে অত্যাধুনিক সমাজের কারণেই এই ফোবিয়া বেড়ে চলেছে। মডার্ন সোশাইটির সদস্যদের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা খুবই কম। আর এর ফলেই বেড়ে যাচ্ছে ভয় ও ভীতি। প্রকৃতি থেকে দূরে সরে গেলে আরও বেশি করে বেড়ে যাচ্ছে প্রকৃতির প্রতি ফোবিয়া। তবে এগুলি প্রমাণ হয়নি, গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য। বাওফোবিয়া নিয়ে তথ্য খুব কম।