চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে সাতটি ভয়াবহ বিপর্যয়

নিউজ় ডেস্ক: ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত মারণ করোনাভাইরাসের কোপে বিপর্যস্ত৷ এখনও বিশ্বের বহু দেশ এই মহামারিতে রীতিমতো দিশেহারা৷ এই মহামারির সঙ্গে নতুন করে নানা প্রাকৃতিক…

Rebuilding after Natural Disasters

নিউজ় ডেস্ক: ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত মারণ করোনাভাইরাসের কোপে বিপর্যস্ত৷ এখনও বিশ্বের বহু দেশ এই মহামারিতে রীতিমতো দিশেহারা৷ এই মহামারির সঙ্গে নতুন করে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে বিশ্ববাসী৷ কোথাও ভয়াবহ বন্যা৷ কোথাও ভূমিধস৷ আবার মস্কো, কানাডার মতো শীতপ্রধান দেশও জ্বলছে প্রচণ্ড গরমে৷ চলতি বছরে ঘটে যাওয়া সাতটি ভয়াবহ বিপর্যয় তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে৷

ইউরোপে বন্যা: গ্রীষ্মকালে অতিবৃষ্টির কারণে ইউরোপের জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে৷ আকস্মিক এই বন্যায় শুধুমাত্র জার্মানি ও বেলজিয়ামেই দুইশ নয় জন প্রাণ হারিয়েছে৷ আর ঘরছাড়া হয়েছেন শত শত মানুষ৷ এমন বন্যা গত এক দশকেও দেখেনি ইউরোপ৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

আক্রান্ত চিন-ভারতও: অতিবৃষ্টির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দুই জনবহুল রাষ্ট্র চিন এবং ভারতেও বন্যা দেখা দিয়েছে৷ হতাহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণেই এমন পরিস্থিত তৈরি হচ্ছে৷ যা আসছে বছরগুলোতেও হতে পারে৷

মঙ্গায় আক্রান্ত লক্ষাধিক মানুষ: তীব্র খরায় কারণে ফসল উৎপাদন না হওয়ায় আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারের প্রায় ১১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে৷ পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, সেখানকার মানুষ ক্ষুধা মেটাতে ক্যাকটাস ও পোকামাকড় খেয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় আছে৷

রেকর্ড গরম যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায়: ইউরোপ কিংবা এশিয়া যখন বন্যায় নাকাল, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার কিছু অঞ্চল তখন উচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে৷ দক্ষিণ ক্যানাডার লিটোন অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি পর্যন্ত রেকর্ড হয়েছে৷

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘর ছাড়া হাজারো মানুষ: প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুখে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে ২০২০ সালেই সবচেয়ে বেশি ছিল৷ পরিসংখ্যান বলছে, বন্যা, বৃষ্টি ও খরাসহ নানা ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০২০ সালে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন৷

ঝুঁকিতে আমাজন: এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল দগ্ধ হচ্ছে তীব্র খরায়৷ এমন খরা গত একশ বছরেও দেখেনি ব্রাজিল৷ এর ফলে পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে খ্যাত আমাজনে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷

দাবানলে পুড়ছে: উষ্ণ তাপমাত্রায় সৃষ্ট তীব্র গরম কমে এলেও আবহাওয়ার শুষ্কতার কারণে দেখা দিচ্ছে অন্য বিপদ৷ যুক্তরাজ্যের অরিগন অঞ্চলের কথাই ধরুন৷ সেখানে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট দাবানলে দুই সপ্তাহে বিশাল এলাকা পুড়ে গিয়েছে৷