Bangladesh: কচুরিপানার তৈরি পণ্য যাচ্ছে ২৬ দেশে

পাট, কচুরিপানা, হোগলা পাতা ও খড় এগুলি ফেলে দেওয়া হয়না। এগুলি দিয়ে তৈরি হয় ১০০ টার ও বেশি পণ্য।  তৈরি হয় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজবাড়ী সদরের ‘গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস’ কারখানায়।

Bangladesh's Common Water Hyacinth Products

পাট, কচুরিপানা, হোগলা পাতা ও খড় এগুলি ফেলে দেওয়া হয়না। এগুলি দিয়ে তৈরি হয় ১০০ টার ও বেশি পণ্য।  তৈরি হয় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজবাড়ী সদরের ‘গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস’ কারখানায়। এই কারখানায় পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করা হউ এবং এইসব পণ্যের বিপুল চাহিদা থাকার কারণে সেগুলো রপ্তানি করে হচ্ছে বিশ্বের ২৬ টি দেশে।

প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন এই কারখানায়। তাদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা। এই কাজের ফলে শ্রমিকরা হয়ে উঠছেন আত্মনির্ভরশীল৷ সুযোগ পাচ্ছেন গ্রামীণ মহিলারাও। বৈদেশিক মুদ্রাও আয় হচ্ছে। তাই সব দিক দিয়ে লাভের অঙ্ক টা অনেক।

‘গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস’ কারখানা অবস্থিত সরজমিনে সদর উপজেলার ভবদিয়া গ্রামে। এই কারখানায় পাট, কচুরিপানা, হোগলা পাতা ও খড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নার্সারি পট, ফ্লোর ম্যাট, প্লেস ম্যাট, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, ঝুড়ি, টিফিন বক্স, পেট হাউস, টিস্যু বক্স, ফাইল বক্স, ট্রে, ফুল ঝুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্যে।

এখানে মহিলা শ্রমিক ছাড়াও কাজ করছেন প্রতিবন্ধী ও বিধবারাও। মহিলাদের পাশাপাশি অনেক পুরুষ শ্রমিকও কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কেউ পণ্যন তৈরি করছে, কেউ তৈরি করা পণ্যর সাজিয়ে রাখছেন। আবার কেউ কেউ বিদেশে পাঠাতে পণ্য প্যা কেটজাত করছেন।

গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “২০১৫ সালে আমরা ঢাকার বাইরে রাজবাড়ীতে মিলটি করার চিন্তা করি। সেই ভাবনা থেকে এক একর জায়গায় এই কারখানাটি চালু করা হয়। আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাট, হোগলা পাতা, ধানের খর, কচুরিপানা সংগ্রহ করি।“

রফিকুল আরও জানান, “কারখানাটিতে শতাধিক পাটজাত পণ্য তৈরি করা হয়। এসব পণ্য নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সৌদি আরব, জাপান, হংকং, মালয়েশিয়া, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ ২৬টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও। কারখানাটিতে বর্তমানে ৮০০ জন কাজ করছেন। তবে বাড়িতে বসে ঘরের কাজের পাশাপাশি পাটজাত পণ্য তৈরি করছে প্রায় এক হাজার ২০০ জন।“