শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’ কে ৫১ রানে হারিয়ে উদীয়মান এশিয়া কাপের (Emerging Asia Cup) ফাইনালে ভারত ‘এ’। টস জিতে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ ‘এ’ অধিনায়ক সাইফ হাসান। ব্যাটিং করতে নেমে খুবই ধীর গতিতে রান করছিলেন ভারতের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন (২১) এবং অভিষেক শর্মা (৩৪)।
গত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা নিকিন জোশ আজ করেন মোটে ১৭ রান। চার নম্বরে নেমে শেষ অবধি টিকে ছিলেন অধিনায়ক যশ ধুল। একপ্কার তাঁর কাঁধে চেপেই একটি সম্মানজনক স্কোর করে ভারত। একেবারে শেষ ওভারে রিপন মন্ডলের বলে শেষ হয়ে যায় ৮৫ বলের ৬৬ রানের ইনিংস।
যেখানে মনে হচ্ছিল ভারতের মোট রান ২০০ পার করবে না, সেখানে ধুলকে যথাসম্ভব সাহায্য করেন মানব সুথার (২৪ বলে ২১) এবং রাজবর্ধন হাঙ্গরেকার (১২ বলে ১৫)। ৪৯.১ ওভারের শেষে ১০ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান করে ভারত।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলে বাংলাদেশ। প্রায় পাঁচ রান প্রতি ওভারে রান উঠছিল তাদের। দুই ওপেনারের মধ্যে তানজিদ হাসানের আগ্রাসনও বেশি। হেলায় ৫১ থান করে গেলেন মাত্র ৫৬ বলে।
বাংলাদেশের তখন ১২ ওভারে ৭০ রান, রিয়ান পরাগকে বেমালুম চার ছয় মারছেন মহম্মদ নাইম এবং তানজিদ। বল হাতেও সেই উদ্ধারকর্তা মানব সুথার। এসেই তাঁর দ্বিতীয় ওভারে উইকেট নিলেন মহম্মদ নাইমকে। তানজিদকে ঘায়েল করেন নিশান্ত সিন্ধু। ফিরে এসে আবার জাকির হাসান তথা নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিন সুথার।
এরপর আর কোনো বড়ো পার্টনারশিপ তৈরী হতে দেয়নি ভারতীয় বোলাররা। শুরুতে যেখানে মনে হয়েছিল ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে চলেই গেছে, সেখানে তৃতীয় উইকেটের পর থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ।
ভারতের হয়ে শুধু সাইফ হাসানের (২২) উইকেট নেন ভারতের সহ অধিনায়ক অভিষেক শর্মা। সৌম্য সরকারের (৫) উইকেট নেন যুবরাজসিং দোদিয়া। তানজিদের পাশাপাশি আরো চারটে উইকেট নেন সিন্ধু- প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এই প্রথম পাঁচ উইকেটে ‘হল’ তাঁর। আপাতত এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উইকেটও রয়েছে তাঁর নামে।
শেষে রিপন মন্ডলের উইকেট নিয়ে ১৬০ রানে বাংলাদেশ ‘এ’র ইনিংস গুটিয়ে দেয় মানব সুথার। উল্টো দিকে অপর সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬০ রানে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান ‘এ’। অতএব ২৩এ জুলাই সেই প্থেমদাসাতেই ফাইনাল খেলতে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত পাকিস্তান। ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে।