Bluefin Tuna: মুখে দিলেই পুরো মাখন! ব্লু ফিন টুনা না খেলে জীবন বৃথা

কোটি টাকায় বিক্রি হয় টুনা মাছ। সারাবিশ্বে সর্বোচ্চের মধ্যে শীর্ষে আছে এই মাছটি। টুনা খেতে যতো না মাছের মত তার চেয়ে অনেক বেশি মাংসের মত।…

Bluefin Tuna

কোটি টাকায় বিক্রি হয় টুনা মাছ। সারাবিশ্বে সর্বোচ্চের মধ্যে শীর্ষে আছে এই মাছটি। টুনা খেতে যতো না মাছের মত তার চেয়ে অনেক বেশি মাংসের মত। টুনা মাছের রয়েছে নানা জাত তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে দামি ‌উৎকৃষ্ট হল ব্লু ফিন টুনা মাছ। এই মাছের টুকরা দিয়ে মূলত বিখ্যাত জাপানি খাবার সুসি প্রস্তুত করা হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক ব্লু ফিন টুনার ওজন ২০৪ কেজি বা তারও বেশি। চলতি বছরে জাপানের বাজারে একটি ২১২ কেজির টুনা নিলামে উঠলে তা বিক্রি হয় ২ লাখ ৭৩ হাজার মার্কিন ডলারে যা মুদ্রায় ২ কোটি ৮৬ হাজার টাকা।

   

আটলান্টিক সাগরে বসবাসকারী ব্লু ফিন টুনা মাছের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১০ ফুট হয়ে থাকে। গতি এবং আকারের কারণে অনেক সময় আন্ডার ওয়াটার মিসাইল টর্পেডোর সাথে তুলনা করা হয়। শুধু খাবার হিসেবে না সামুদ্রিক প্রাণী ব্লু ফিন টুনা একটি বিশেষ স্থানাধিকার করে নিয়েছে। এরা সর্বোচ্চ ৪০ বছর বাঁচে। অনেক সময় ওজনের প্রায় ২ হাজার পাউন্ডের মত হয়ে থাকে যায় একটি ঘোড়ার ওজনের চাইতে বেশি। এরা সমুদ্রের প্রায় তিন হাজার ফুট গভীরে যেতে সক্ষম। সর্বৎকৃষ্ট টুনা মাছ আসে জাপান থেকে। একটি মাছের পাশাপাশি মাছের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

ব্লু ফিন টুনা মাছ খেলে কত টাকা গুনতে হবে তা নির্ভর করছে কোথা থেকে মাছটিক কেনা হচ্ছে। অঞ্চল ভিত্তিক এক পাউন্ড টুনা মাছের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া মাছের কোন অংশটি খাওয়া হবে তার ওপরও এর দাম নির্ভর করে। মাছের সবচেয়ে দামি অংশটি হল টুনা মাছের পেট। এই অংশটিকে বলা হয় টোরোকাট। চর্বিযুক্ত অংশ এটি। জাপানের রেস্টুরেন্টে এক পিস টোরোকাটের দাম ২৪ ডলারের মতো। আমেরিকাতে এক পাউন্ড টোরোকাটের মূল্য অনেক সময় ৪০০ ডলার হতে পারে।

আটলান্টিক সাগরে টুনা মাছ খেতে চমৎকার। মুখে দিলে মাখনের মত গলে যায়। সেই সাথে পাওয়া যায় রসালো মিষ্টি একটি স্বাদ। তাই অনেক সবসময় টুনা মাছ কাঁচা পরিবেশন করা হয় তবে এতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। টুনা মাছ শুধুমাত্র স্বাদের জন্যই বিখ্যাত নয়। টুনা মাছের চাহিদার পিছনে অনেক ফ্যাক্টর জড়িত। কম দামী টুনা মাছ সাধারণত স্থানীয় সুপারস্টোর গুলিতে পাওয়া যায়। এগুলো মূলত প্রসেস টুনা‌, জাত্তি লে ডুবিয়ে টিনের পাত্রে সিল করে দেওয়া হয়। ক্যান জাত টুনা মাছে থাকে ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ। অথচ ফ্যাট এবং ক্যালোরি কম। ব্লাড প্রেসার ও ক্যালোরি কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয় টুনা মাছ। প্রক্রিয়া যাতে টুনা মাছ অল্প সময়ে রান্না করে খাওয়া যায়। তাই ব্যস্ত পৃথিবীতে এর চাহিদা বেড়ে চলেছে।