Dunkirk : ভারতীয় জওয়ানদের সৌজন্যে সে’দিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ব্রিটিশরা

ডানক্রিক (Dunkirk) ইভাকুয়েশনের ইতিহাস জানেন অনেকেই। সিনেমাও রয়েছে। কিন্তু সেদিনের ফ্রান্সে ভারতীয় জওয়ানদের ভূমিকা এখনও কম আলোচ্য।  ক্রিস্টোফার নোলান-এর সিনেমা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি ভারতে।…

Dunkirk

ডানক্রিক (Dunkirk) ইভাকুয়েশনের ইতিহাস জানেন অনেকেই। সিনেমাও রয়েছে। কিন্তু সেদিনের ফ্রান্সে ভারতীয় জওয়ানদের ভূমিকা এখনও কম আলোচ্য। 

ক্রিস্টোফার নোলান-এর সিনেমা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি ভারতে। অনেকেই আশা করেছিলেন ভারতীয়দের ভূমিকাকেও পর্দায় তুলে ধরবেন নোলান। কিন্তু তা হয়নি। সিনেমার বাইরেও তাই তথ্য সন্ধান করেছেন ইতিহাস অনুসন্ধিৎসুরা। 

ব্রিটিশ শাসনের কারণে বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত। ব্রিটিশদের স্বার্থে বিদেশের মাটিতে বীরত্বের প্রমাণ রেখেছেন সেপাইরা। ফ্রান্সের মাটিতে সুবিধা করতে পারেনি ব্রিটেন এবং তাদের মিত্র দেশগুলো। পালিয়ে যেতে হয়েছিল সাহেবদের। ডানক্রিকে ব্রিটিশদের নিরাপদে পালাতে সাহায্য করেছিলেন ভারতীয় সেনা। বইয়ের পাতায় সে ব্যাপারে তথ্য মিলেছে। 

কে-৬ নামের একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। প্রায় ৪,০০০ জন ছিলেন সেই বাহিনীতে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, সেখানে ৯৭ শতাংশ মানুষ ছিলেন মুসলমান। অনেকেই গিয়েছিলেন পাঞ্জাব থেকে। ঝিলম, রাওলপিন্ডি, কাশ্মীর এবং ভারতের অন্যান্য জায়গা থেকেও লোক পাঠানো হয়েছিল ফ্রান্সে। 

জার্মানের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে সাহেবরা বুঝতে পেরেছিলেন তাদের কিছু পশু দরকার। ভারতীয় সেনা বাহিনীতে ৩৬টি ‘ অ্যানিমাল সাপ্লাই ‘ কোম্পানি ছিল। ২৫ অ্যানিমাল কোম্পানি এবং ৩২ অ্যানিমাল কোম্পানিকে ডানক্রিকে পাঠানো হয়েছিল। দুই কোম্পানিতে আনুমানিক ৬০০ জন ভারতীয় ছিলেন। যার মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। দেশ ভাগ হওয়ার পর অনেকেই পাকাপাকিভাবে চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। ইতিহাসবিদদের অনেকেই এটা মনে করেন । 

ব্রিটিশদের সাহায্য করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন ভারত থেকে সেখানে যাওয়া জওয়ানরা। হিটলারে নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন ৩২০ জন ভারতীয়। সেই প্রথম নাৎসিদের হাতে ভারতীয়দের ধরা পড়া। পরে বন্দী করা হয়েছিল তাঁদের। পাঁচ বছর কুঠুরির মধ্যেই আটকে থাকতে হয়েছিল। পরে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু হিটলারের সঙ্গে দেখা করার পর পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়।

যাইহোক, ভারতীয় জওয়ানরা আটকে পড়লেও ১৯৪০ সালের মে মাসে সফল হয়েছিল ডানক্রিক ইভাকুয়েশন । রক্ষা পেয়েছিল ব্রিটিশরা।