রোজ সকালে উঠে এই পাঁচটি কাজ একেবারেই করবেন না, (Morning Routine) তাহলেই কিন্তু দিন ভীষণ খারাপ যাবে আপনার! সকালে ঘুম ভেঙেই অনেকের অনেক রকম অভ্যাস থাকে। কেউ সকাল সকাল শরীরচর্চা করতে ভালোবাসেন, কেউবা করেন ধ্যান, কেউ আবার এক কাপ চা ছাড়া দিনটা শুরুই করতে পারেন না। অনেকেই আবার গরম জল পান করে নিজের দিনের শুরু করেন। কিন্তু আজকালকার মর্ডান লাইফস্টাইলে আমরা প্রত্যেকেই বেশকিছু কাজ করে থাকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পাঁচটি কাজ করলে আপনার দিনটি ভালো নাও কাটতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল স্ক্রল করা: কর্মব্যস্ততাময় জীবনে অনেকেরই ঘুম ভাঙ্গে ফোনের অ্যালার্মে। ফোনের অ্যালার্ম বন্ধ করবার সঙ্গে সঙ্গে চোখ চলে যায় মোবাইলের স্ক্রিনে। তখন মন বলে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশনসগুলো চেক করতে। সেই ৫ মিনিটের নোটিফিকেশন চেক করতে করতে পেরিয়ে যায় অনেকখানি সময়। ফলে বিছানা ছাড়তেও দেরি হয়। আর বিছানা ছাড়তে দেরি হলে, সারাদিনের ওয়ার্ক সিডিউলও চলবে সেই গতিতে। তাছাড়া সকালে ঘুম ভেঙ্গেই চোখের জন্য মোবাইলের রেডিয়েশন একেবারেই ভালো নয়। তাই ঘুম ভেঙেই ফোন না ঘাটাই ভালো।
খালি পেটে চা পান: অনেকেরই ঘুম ভাঙলেই বেড-টি চাই-ই চাই। কিন্তু জানেন কি সারারাত আপনি যখন ঘুমোন, সেই ছয় থেকে আট ঘণ্টার টাইম স্প্যানের মধ্যে আপনার পেটে থাকা সব খাবার হজম হয়ে যায়। তাই ঘুম ভাঙতেই খালি পেটে যখন আপনি চা পান করেন, তখন সেই চা প্রভাব ফেলে আপনার লিভারে। যা আপনার গাট হেলথ-এর জন্য একেবারেই ভালো নয়। নিয়মিত খালি পেটে চা পান করলে ফ্যাটিলিভার এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।
ধুম্রপান: সকালবেলা ঘুম ভেঙে হোক বা রাতের বেলা শোবার আগে ধূমপান করা একেবারেই উচিত নয়। ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্ষতি হয় একথা সকলেরই জানা। এটাও জানা যে মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে এই ধূমপান করলে। কিন্তু জানেন কি ঘুম ভেঙ্গেই সকাল বেলা যে সিগারেটটা আপনি ধরান, তা কিন্তু আপনার মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে? এই কারণেই কিন্তু তাদের শরীরে সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, অযথা ক্লান্তি, খিটখিটে ভাব বজায় থাকে। কিছুতেই আর সেটা দূর করা যায়না।
ব্রেকফাস্টে অতিরিক্ত তেল এবং মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া: রাতের খাবার খাওয়ার পর টানা ছয় থেকে আট ঘন্টা, অর্থাৎ ঘুমের সময় পেটে থাকা সব খাবার হজম হয়ে যায়। তাই এই দীর্ঘক্ষণ বিরতির পর, ব্রেকফাস্ট একেবারেই তেল এবং মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে পেটের ক্ষতি হয় এবং সারাদিন গ্যাস এবং অম্বলের সমস্যায় ভুগতে পারেন। ব্রেকফাস্টে সহজপাচ্য অথচ সুষম খাবার খাওয়া উচিত।
নেতিবাচক চিন্তাভাবনা: সবশেষে সকালবেলা উঠেই কোনও রকমের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়। এতে সারাদিনের কাজকর্মে নেতিবাচক প্রভাব পরে। সকালে উঠে সব সময় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করা উচিত। তাতে মন এবং শরীর দুই ভালো থাকে এবং পুরো দিনটাই কাটে খুব ভালো ভাবে।