কথায় আছে চুলেই নারীর সৌন্দর্য। একরাশ ঘন এবং লম্বা চুল (Thick and Long Hair) কে না পছন্দ করে! আর তা যদি হয় কোমর পর্যন্ত ছাপানো। হ্যাঁ, আপনিও হতে পারেন ঘন ও সুন্দর চুলের মালকিন। তার জন্য দরকার চুলের সঠিক যত্ন। ঠিকঠাক উপায় চুলের যত্ন নিলে এবং যথাযথ পুষ্টি পেলে চুল ঝরে কম। ফলে চুলের বৃদ্ধিও হয় দ্রুত। তাই সবার আগে প্রয়োজন সঠিক উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়া।
কিভাবে চুলের যত্ন নেবেন, কোন কোন বিষয়গুলি মেনে চলবেন আর কোন কোন বিষয় এড়িয়ে যাবেন, তারই একাধিক টোটকা রইল এখানে….. নিচের টোটকা গুলি মেনে চললে আপনার চুল বাড়বে তরতড়িয়ে।
•সঠিক শ্যাম্পু বাছুন
প্রথমেই আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু চয়ন করুন। মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প খুব তৈলাক্ত হলে ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। আর যদি ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
•পুষ্টিকর খাবার
শরীরের পাশাপাশি ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে খাদ্যাভ্যাস। সর্বদা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। একমাত্র স্বাস্থ্যকর খাদ্যই পারে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে।
•স্ক্যাল্প ম্যাসাজ নিন
নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজে চুলের দারুন উপকার হয়, চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজে নিলে স্ট্রেস কমে।
• চুলে অতিরিক্ত তাপ দেওয়া যাবে না
হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং আয়রন এবং স্ট্রেইটনারের মতো সরঞ্জাম যা চুলের ব্যাপক ক্ষতি করে এমন জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। এই সরঞ্জামগুলি থেকে নির্গত তাপ চুলের কেরাটিন প্রোটিনের ৮৫ শতাংশ ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে চুল ভঙ্গুর এবং শুষ্ক হয়ে যায়। চুল পড়া আরও বাড়ে।
• চুল বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
পেঁয়াজের রস – পেঁয়াজ চুলের জন্য জাদুকরী উপাদান। পেঁয়াজের রসে উপস্থিত সালফেট চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুল পড়া কমায়।
অ্যালোভেরা – অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত পুষ্টিকর। চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরা জেলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদানগুলিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের প্রদাহ দূর করে এবং খুশকি কমায়। এছাড়াও মেথি চুলের জন্য খুব উপকারী। মেথির বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধি ও চুলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপেল সাইডার ভিনেগার। আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে আপনার মাথার ত্বক পরিষ্কার করুন। মাথার ত্বকে পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখার জন্য স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এতে আপনার চুল আরও মজবুত হবে।