শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ইন্দ্রজিতকে রক্ষায় মেঘ তৈরি করা হচ্ছে: বিকাশ ভট্টাচার্য

আদালতে বিকাশ আনলেন এক ইন্দ্রজিতকে। কে ইন্দ্রজিত? কী তার আসল পরিচয়? আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattachary) সেটি খোলসা করেননি। তবে তাঁর…

আদালতে বিকাশ আনলেন এক ইন্দ্রজিতকে। কে ইন্দ্রজিত? কী তার আসল পরিচয়? আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattachary) সেটি খোলসা করেননি। তবে তাঁর ইঙ্গিত কোনও এক হেভিওয়েট নেতা যিনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে বিচরণ করেন।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, এই ব্যক্তি সবকিছুর মূলে। তাকে আড়াল করতেই একটা মেঘের মতো আস্তরণ তৈরি করা হচ্ছে।

   

যদিও এর আগে বিকাশবাবু সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ১৭ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি দিতে মাত্র ২ ঘণ্টা সময় লাগবে তাঁর। তার জন্য শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হবে।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার তিনি আদালতে ইন্দ্রজিত কে টেনে আনলেন। তিনি আদালতে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আসল দুর্নীতিকে আড়াল করা হচ্ছে। বাড়তি এক নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল না? প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন,মহাভারতে মেঘের আড়ালে যুদ্ধ করতেন ইন্দ্রজিৎ। তেমনই দুর্নীতি ঢাকার জন্য মেঘ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পর্ষদের সভাপতি যদি কোনও দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে আদালতের ক্ষমতা রয়েছে তাঁকে অপসারণ করার।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২৬৯ জন চাকরি হারিয়েছেন। শুধুমাত্র ২৬৯ জন এখনও অবধি পাওয়া ৪৩ হাজার জন কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।

রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য, আদালতের নির্দেশেই নম্বর বাড়ানো হয়েছে তাঁদের। এখানে কোনও স্ক্যাম নেই। তবে বিকাশ ভট্টাচার্যের যুক্তি ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০১৭ সালেই চাকরী প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছিল বোর্ড। এখানেই বেনিয়ম হয়েছে।