ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী: ফিল্ম উৎসবের জন্য আচমকা বন্ধ সমস্ত শুটিং

ছুটি দিন কিন্তু জানিয়ে দিন আগে থেকেই। আচমকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বলে ক্ষতি করিয়ে দেবেন না। ফিল্ম উৎসব উপলক্ষে হঠাৎ ছুটি পেয়ে ভালোলাগার মাঝেও রাজ্য সরকারকে…

Sudipta chakraborty

ছুটি দিন কিন্তু জানিয়ে দিন আগে থেকেই। আচমকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বলে ক্ষতি করিয়ে দেবেন না। ফিল্ম উৎসব উপলক্ষে হঠাৎ ছুটি পেয়ে ভালোলাগার মাঝেও রাজ্য সরকারকে খোঁচা সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta chakraborty)।

তিনি বলেছেন “আজ কলকাতায় “সিনেমা”র উৎসবের উদ্বোধন। তাই শুটিং বন্ধ। সিনেমা, টিভি, ওয়েব প্ল্যাটফর্ম সবার শুটিং ই বন্ধ। আমার ও আজ সিনেমার শুটিং ছিলো। গতকাল ক্যানসেল হয়ে গেলো। শুনলাম, ‘message’ এসেছে, শুটিং রাখা যাবে না !!!”

তিনি বলেন, “কি মজা !! হঠাৎ পাওয়া ছুটি এমন উত্তেজনা এনে দেয়, মনে হয় একদিনে অনেক কিছু করে ফেলি। প্রযোজক/ পরিচালক (মানে যাঁরা আসলে “সিনেমা” টা বানাচ্ছেন) চুলোয় যাক, আজকের book করা location টা আবার কবে ফাঁকা আছে তাঁরা দেখুক,সব শিল্পী ও কলাকুশলীরা আবার কবে ফাঁকা আছে তাই মিলিয়ে আবার একটা শুটিং এর তারিখ ধার্য হোক। এবছর সম্ভব না হলে পরের বছর হবে। কি আছে? “সিনেমা” বানাচ্ছেন বলে কথা !! এইটুকু চাপ নেবেন না ?? আশ্চর্য !!
“সিনেমা”র স্বার্থে “সিনেমা কর্মী” দের এই স্বার্থত্যাগ “সিনেমা”র ইতিহাস নিশ্চয়ই মনে রাখবে ।

শুনলাম সমস্ত আর্টিস্ট এবং টেকনিশিয়ান গিল্ড কে বেশ কিছু নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে, তাঁরা যেন দলে দলে যোগ দেন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কলকাতার বাইরে থেকে অনেক আর্টিস্ট আসছেন। দেশ বিদেশের তাবড় সিনেমা নির্দেশক/নির্মাতারা আসছেন। তাঁদের দেখতে যাবেন আমাদের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। খুবই শুভ উদ্যোগ!!!”

এরপরেই তিনি বলেন, “এমন করে আগে কেউ কখনো ভাবতেন বলে জানি না। তবে এব্যাপারে আমার এক খান প্রস্তাব ও আছে। সেটা হলো, শুধু আর্টিস্ট দেখা এবং উদ্বোধনী ছবি দেখায় থেমে না থেকে আমরা যাতে একটু ভালো সিনেমা দেখার ও সুযোগ পাই, তার জন্য ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১০ দিন সব শুটিং বন্ধ রাখা হোক। আমরা ফিল্ম/টিভি/ওয়েব ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত অভিনেতা ও কলাকুশলীরা ১০ দিন ধরে চুটিয়ে সিনেমা দেখি, তারপর উত্তেজনায় টগবগ করতে করতে আবার যাই সবে নিজ নিজ “শুটিং” এ।

আর এক খান প্রস্তাব এই ছুটি টা বছরের শুরুতেই ঘোষণা করে দেওয়া হোক। তাহলে ঐ কটা দিন আগে থেকে শুটিং রেখে, শেষ মুহূর্তে ‘মেসেজ’ পেয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে প্রযোজক / পরিচালক দের টাকা পয়সা লস করতে হয় না, চোখের সামনে সব প্ল্যানিং ঘেঁটে ঘ হতে দেখতে হয়না, টিভি সিরিয়াল গুলোর নন হয়ে যাবার ভয় থাকে না, এই আর কি। একটু ভেবে দেখবেন কত্তা। জয় “সিনেমা”র জয় বাংলার “সিনেমার উৎসব” এর পাশে দাঁড়ান। “