চিয়ার্স, চা দিবসে দিন শুরু হোক গরম আস্বাদে

আজ ১৫ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক চা দিবস (international tea day )। প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর এই দিনটিতে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক চা দিবস। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভিয়েতনাম,…

international tea day

আজ ১৫ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক চা দিবস (international tea day )। প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর এই দিনটিতে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক চা দিবস। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, উগান্ডা ও তানজানিয়ার মতো চা উৎপাদনকারী দেশগুলো ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি উদযাপন করে আসছে।

আন্তর্জাতিক চা দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল- চা বাগানের কর্মী-উৎপাদকদের ওপর বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রভাব সরকার ও জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং অর্থনৈতিক সমর্থন ও ন্যায্য বাণিজ্যের সংযোগ স্থাপন করা।
২০০৪ সালে বিশ্ব সামাজিক সম্মেলনের পর ২০০৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। পরবর্তীতে ২০০৬ ও

২০০৮ সালে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করে শ্রীলংকা। আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিশ্ব চা সম্মেলনের যৌথ আয়োজন করে থাকে বিভিন্ন শ্রমিক কল্যাণ সমিতি।

চা বিশ্বের সর্বাধিক উপভোগ্য পানীয় জলের পরেই। এর একধরনের স্নিগ্ধ, প্রশান্তিদায়ক স্বাদ রয়েছে এবং অনেকেই এটি উপভোগ করে। প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া অনুসারে চা-কে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

চা নিয়ে কয়েকটি স্পেশ্যাল তথ্য-
চা পানের শুরু চীনে ২০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে।সব চা আসে এক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে। জাপানে, চা আসে চীন থেকে ফিরে আসা জাপানি ধর্মগুরু এবং দূতদের হাত ধরে। রুশদের কাছে বেশিরভাগ চা পৌঁছাতো চীন থেকে রাশিয়ার পথে ক্যারাভান রুটে। উটের কাফেলা মাসের পর মাস ধরে ভ্রমণ করে মহাদেশ জুড়ে চা বহন করে চলতো। সপ্তদশ শতকে চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরলে ব্রিটিশদের চায়ের জন্য অন্য দেশের দিকে মনোযোগ দিতে হয়।

সাধারণভাবে প্রাথমিক ইংলিশ ব্রেকফাস্টের অন্তর্ভুক্ত আসাম চা-এর রং কালো থাকায় তা লোকজনকে দুধ সহকারে পান করতে প্ররোচিত করেছিল। ১৬৫৭ সালে লন্ডনে টমাস গ্যারাওয়ে নামে এক লোকের দ্বারা প্রথম খুচরা-ভাবে চা বিক্রি শুরু হয়। তুর্কী কফিও বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, তবে তুরস্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হল চা। ১৭৭৩ সালে ‘বোস্টন টি পার্টি’র উত্থান হয়, যারা ব্রিটিশ সরকারের আরোপ করা চা করের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছিল। এই বিক্ষোভ আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

চা-কর্মী ও উৎপাদকদের ওপর বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রভাব সরকার ও জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং অর্থনৈতিক সমর্থন ও ন্যায্য বাণিজ্যের সংযোগ স্থাপন করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর এইদিনে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক চা দিবস।