উর্দুতে সাইনবোর্ড নিয়ে ফিরহাদকে আক্রমনে গলায় এক ‘সুর’ শুভেন্দু-গর্গের

বাংলা ভাষা বাঁচানোর দাবিতে ‘এক লাইনে’ সরব শুভেন্দু-গর্গ। কলকাতায় বাংলার পরিবর্তে উর্দুতে সাইনবোর্ড। খিদিরপুরে পুরসভা বাজারের একটি সাইনবোর্ড নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। সম্প্রতি এই ইস্যুতেই…

বাংলা ভাষা বাঁচানোর দাবিতে ‘এক লাইনে’ সরব শুভেন্দু-গর্গ। কলকাতায় বাংলার পরিবর্তে উর্দুতে সাইনবোর্ড। খিদিরপুরে পুরসভা বাজারের একটি সাইনবোর্ড নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। সম্প্রতি এই ইস্যুতেই পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করেছিলেন বাংলাপক্ষের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই ইস্যুতেই গর্গের ‘লাইন’কে সমর্থন করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikeri)। রবিবার ফেসবুকে পোস্ট করে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রীতিমতো তুলোধনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Subhendu Adhikeri)। 

বন্যা ইস্যুতে আক্রমনাত্মক মমতা, ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন রাজ্যের

   

তিনি এক্সে বলেন, “কলকাতার মহানাগরিক জনাব ফিরহাদ হাকিম সাহেব কি নিজের পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক বাংলার অর্ধেক নাগরিকদের উর্দুভাষী বানানোর প্রচেষ্টা কলকাতা পুরসভার মাধ্যমেই শুরু করে দিলেন? নয়তো ‘বাঙালি বাজার’ সাইন বোর্ডে বাংলা ভাষাই ব্রাত্য আর উর্দু জ্বলজ্বল করছে, এটা মনে হয় মেয়র সাহেবের নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়। বলছি সাইন বোর্ড, ব্যানার, হোর্ডিং গুলোতে বাংলা কে প্রাধান্য দিন।

জলমগ্ন ঘাটালে এল না হিরণ, পরিস্থিতি পরিদর্শনে দেব!

সাহেব, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ৯০% মানুষ বাংলাতেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন। আপনি বরং আপনার পছন্দের ধর্মীয় সভায়, যেখানে আপনি মানুষের জন্মগ্রহণের সূত্রে তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন, সেখানে উর্দু ভাষাকে বেশি প্রাধান্য দিন।” 

 

গত শুক্রবার এই পোস্টার ইস্যুতে ফিরহাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাংলারপক্ষের সাধারন সম্পাদক। ফেসবুকে গর্গ লেখেন, “বাংলা ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের রাজধানীতে এমন কোন বোর্ড পাওয়া যাবে যেখানে পৌরসভা একটি বোর্ড দিয়েছে যেখানে সেই রাজ্যের মূল ভাষাটা নেই কিন্তু অন্য দুটি ভাষা আছে?

সিজিওতে তলব টালা থানার এসআই, অভীক-বিরূপাক্ষকে

যদিও বাংলাপক্ষ বরাবরই বহিরাগত হিন্দিভাষীদের বিরোধিতার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও সমানভাবেই তোপ দেগেছে বাংলাপক্ষ। বাংলা সংস্কৃতিকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই বিজেপি বাংলা দখল করতে চায়, এই লাইনেই কথা বলায় অনেকেই বাংলা পক্ষকে শাসকদল তৃণমূলের ‘বি-টিম’ বলেই মনে করত। অবশ্য এক্ষেত্রে শুভেন্দুর এই টুইটের পেছনে রাজ্যে ফের ধর্মীয় মেরুকরণের প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে। বাংলাপক্ষের কাছে বিষয়টি সংস্কৃতি রক্ষার হলেও শুভেন্দুর পোস্ট আসলে মেরুকরণের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কৌশল। দাবি রাজনৈতিক মহলের।