ডিভিসি (DVC) ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্যের তরজা বেড়েই চলেছে। এবার সেই তরজার আবহেই ডিভিসি-র বোর্ড এবং ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক। ডিভিসি (DVC) বোর্ড থেকে সরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসু। ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের প্রতিনিধি তথা সেচ দফতরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার। রবিবার ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারমধ্যেই ডিভিসি থেকে রাজ্যের দুই প্রতিনিধির ইস্তফা নিঃসন্দেহে কেন্দ্র-রাজ্যের বিরোধকে আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
সম্প্রতি বাংলায় বিশেষত দক্ষিণবঙ্গেরল একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদরর্শনে গিয়ে ডিভিসি ও ঝাড়খণ্ড সরকারকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিবেচকের মতো ডিভিসি গেট খোলার পরেই রাজ্যে বানভাসি হচ্ছে বলেই দাবি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার ক্ষতি করছে ডিভিসি। ইচ্ছা করে বাংলার ক্ষতি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। এটি একটি ম্যানমেড বন্যা। কেন্দ্রের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকারকেও নিশানা করেন করে তিনি বলেন, “নিজেদের রাজ্যকে বাঁচাতে ডিভিসি জল ছাড়ছে ঝাড়খণ্ড। আর তাতে বাংলা ডুবছে।” সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছিল, এমনটাই দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়া হয় বলে পাল্টা জানিয়েছিল ডিভিসি। এই বিষয়ে ডিভিসিকে সমর্থন করেই পাল্টা মমতাকে জবাব দেয় দিল্লি। আর তার জেরেই আরও বৃদ্ধি পায় সংঘাত।
গত মঙ্গলবার ডিভিসি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল এক সঙ্গে ছাড়ার ফলে হাওড়ার নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদয়নারায়ণপুর এবং আমতায় দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। উদয়নারায়ণপুরে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বুধবার ভোর থেকে জল বাঁধ টপকে ঢুকে পড়েছে। বন্যার জেরে মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন।